দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গোটাবিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রানঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিন-১৯) ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। ইরানের পর ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে ভয়ানক আঘাত হেনেছে কোভিন-১৯। দেশটিতে একদিনে মৃতের সংখ্যা ৪৭৫ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজারে পৌছেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইতালিতে অবস্থানরত নোয়াখালীর প্রায় পনের হাজার প্রবাসীকে নিয়ে উৎকন্ঠায় তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।
শুধু ইতালি নয়, একমাত্র ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের প্রতিটি দেশে নোয়াখালীর অধিবাসীরা কর্মরত রয়েছে। এরমধ্যে একমাত্র নোয়াখালী পৌর এলাকায় ছয় সহ¯্রাধিক ইতালিতে কর্মরত রয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভার ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের রয়েছে প্রায় চার হাজার ইতালি প্রবাসী। প্রতিমাসে প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক প্রবাসী বাড়িতে আসাযাওয়া করে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইতালি প্রবাসীদের আসাযাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এক দেড় মাত্র পূর্বে দেশে এসেছে- তারা এখন বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ইতালি থেকে বেশ কয়েকজন প্রবাসী মোবাইলে ইনকিলাবকে জানান, গত সপ্তাহ থেকে ’লকডাউন’ এ রয়েছে গোটা দেশ। জনগণকে ঘর থেকে বের না হবার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সবগুলো প্রদেশে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে। টুরিস্ট এলাকা হিসেবে খ্যাত ’ভেনিস’ কার্যত জনশূণ্য। এমন অবস্থায় লাখ লাখ মানুষ কার্যত গৃহবন্দি রয়েছে। তারা আরো জানান, দেশে অবস্থানকারী পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তান প্রতিনিয়ত ফোন করে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। দেশে করোনাভাইরাসের কথা শুনে আমরাও গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। বিদেশের সাথে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইতালিতে অবস্থানরত কাউকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশে উদ্বিগ্ন কয়েকটি পরিবারের সাথে আলাপকালে অভিভাবকরা ইনকিলাবকে জানান, ইতালিতে অবস্থানরত সন্তানদের নিয়ে আমরা প্রতি মুহুর্তে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। আমাদের সন্তানরা ইচ্ছা করলে এখন দেশেও আসতে পারছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহ তা’আলার রহমত ছাড়া ছাড়া কোন পথ নাই। প্রবাসী সন্তানের মঙ্গল কামনায় অনেকে দান খয়রাত ও নফল নামাজ আদায় করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন