ম. নূরল আমিন দুদু সরকার
ব্রিটিশরা দুইশ বছর রাজত্ব করেছে ভারতবর্ষে। শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছেন এদেশের মানুষ তার কমবেশি ইতিহাস সবারই জানা। দুইশ বছর শাসনের পর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ভারত-পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
আমরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হই। পাকিস্তান দুটি খ-ে বিভক্ত হয়Ñএকটি পূর্ব পাকিস্তান, অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানে শোষণ-নিপীড়নের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৭১ সালে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৯ মাস এদেশের জনগণ জীবন বাজি রেখে, লক্ষ লক্ষ লোক শহীদ হয়ে ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে।
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর আমরা এদেশে গণতান্ত্রিক, অর্থনেতিক, সাংস্কৃতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছি। দুইশ চল্লিশ বছরে লুণ্ঠিত-নির্যাতন-নিপীড়নের ফলে শিক্ষা, অর্থনীতি, দারিদ্র্যের কষাঘাতে আমরা চল্লিশ বছরেও উন্নয়নশীল দেশেগুলোর মতো অগ্রসর হতে পারিনি। চার দশক পর এখনও উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোতে আমাদের শ্রমবাজার খুঁজতে হচ্ছে। কারণ এখনও শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা আধুনিক প্রযুক্তি ধারণ করে উন্নত বিশ্বের নাগালে আসতে পারেনি। আয়তনের দিক থেকে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে এটি দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখনও জনগণকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারিনি। আমাদের জনগণকে এখনও বিরাট বোঝা হিসেবেই মনে করা হয়।
দুইশ চল্লিশ বছর সাম্রাজ্যবাদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন হতে মুক্ত হতে পেরেছি। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি আমাদের এখনও মেলেনি। এদেশে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকা- করতে গেলে ঐ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দারস্থ হতে হয়। যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য চাইলে কমবেশি সাহায্য দিতে কার্পণ্য করে না। আবার সেই সাথে লম্বা-চওড়া দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকে। তাদের নির্দেশনা মতো কাজ করতে গেলে প্রকল্পের অর্ধেক টাকা তাদের হাতেই চলে যায়। তাদের মনঃপূত কাজ না হলে অনুদান বা ঋণ বন্ধ করে দেয়। শুধু কি তাই? যে প্রকল্পটির জন্য ঋণ নেয়া হল তার কাজ তাদেরই ইচ্ছামত লোকের মাধ্যমে করাতে হয়। সেখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। এ ধরনের চাপ বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে বেশি দেখা যায়। যেমন বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলের কাজটি উন্নয়নশীল দেশে অনেক কম টাকায় করে দিতে চেয়েছিল। দেখা গেল উন্নত দেশ এক ধমকে কাজটি নিয়ে নিল। এখানে কোন যাচাইবাছাই করার ক্ষমতা রাখা হলো না। এটা সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব নয় কী?
পাক-ভারত একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হতে স্বাধীকার লাভ করে। সাম্রাজ্যবাদীর নির্যাতন-অত্যাচার স্মরণ রেখে পাক-ভারত উভয়ই উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। উভয় দেশই বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে পরিচিত। উভয় দেশ ধৈর্য-সহিষ্ণুতা পুঁজি করে নিজস্ব সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও শিল্পায়ন বহুদূর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে ধনী দেশগুলোর মধ্যে ভারত অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিল্পের দিক থেকে চতুর্থ স্থান লাভ করেছে। ভারতে ১৩০ কোটি মানুষ। রাজ্যগুলোতে ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি বিদ্যমান। এতগুলো জাতিগোষ্ঠী নিয়ে ভারত এখন বিশ্বের উন্নত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ যুদ্ধ করে লাখো শাহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধিকার লাভ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সাহায্য করেছে, আশ্রয় দিয়েছে চিরসত্য। সেই সাথে ভারত এ যাবৎকাল বাংলাদেশ হতে কী পরিমাণ লাভবান হচ্ছে তা সচেতন নাগরিকদের সবারই জানা। বর্তমানে ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত। আসলে কী বন্ধু? বন্ধু যদি হতো তাহলে বাংলাদেশের চতুর্দিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া, ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত রাখত না। একে কি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বলা যায় না। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিধর দেশগুলো সারা পৃথিবী লুণ্ঠন করে তাদের নিজস্ব দেশগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে সেই সাথে নিজেদের শিক্ষা, জ্ঞান-গরিমা এতই উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন থেকে যত দেশ স্বাধীন হয়েছে তারা কী স্বাধীন! ভৌগোলিক দিক থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারস্থ হতে হয়। যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যানবাহন ইত্যাদির দিক থেকে এখনও শত শত দেশ স্বাবলম্বী হতে পারেনি। উপরোল্লিখিত চাহিদাসমূহের বাস্তবায়ন করতে গেলে আবারো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারস্থ হতে হয়। তাই তারা সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এখনও সারা পৃথিবী শোষণ করছে। যারাই সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির চক্রান্ত বুঝতে পেরেছে তারাই বর্তমানে আলোচিত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেমন চীন, ভারত, জাপানসহ আরো অনেকেই রয়েছে। অনেক দেশ আছে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে স্বাবলম্বী হতে না পারলেও যখনি তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে আগ্রহী হয়, দেখা যাচ্ছে তখনি সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো একত্র হয়ে ঐ দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর কারণ অতীতের নির্যাতনের জন্য সদ্য আবিষ্কৃত পারমাণবিক শক্তি তাদের উপর প্রয়োগ করতে পারে এ আশঙ্কায় থাকে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি।
১৯৫৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে একটি সংগঠন গড়ে উঠে। কয়েক বছর না যেতেই সংগঠনটি দুইভাগে বিভক্ত হয়। এক ভাগ ডানপন্থী অন্যভাগ বামপন্থী। ডানপন্থীর কর্ণধার হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বাম পন্থীর কর্ণধার হিসেবে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আসেন। বর্তমানে যারাই স্বনামধন্য নেতানেত্রী রয়েছেন, আওয়ামী মুসলীগ লীগ সংগঠন হতে দীক্ষা নিয়েই সমাদৃত হয়েছেন। ১৯৫৪-৫৭ সাল পর্যন্ত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানে শাসকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে খ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার আমলে গণতন্ত্রে কতটুকু ভিত্তি স্থাপন করেছিল তা মূল্যায়ন করার আগেই ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারির পর সোহরাওয়ার্দীর গণতন্ত্র ল-ভ- হয়ে যায়।
আরেকজন মহান নেতার কথা আলোচনা না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তিনি হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। তার শাসনামলে এদেশে প্রজাতন্ত্র বাতিল করে কোটি কোটি মেহনতি মানুষের মুক্তি দিয়েছিল। এক শ্রেণীর জোত-জমিদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জনগণ লাভবান হয়েছে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করেন নাই। এদেশেই তার বাড়ি এদেশেই তার সমাধি। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন মজলুমদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে কাজ করেছেন। তার রাজনীতি তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে অদ্যাবধি যত নেতানেত্রী রয়েছেন অথবা ক্ষমতা বা ক্ষমতার বাইরে যারাই থাকুক না কেন মওলানা ভাসানীকে অবজ্ঞা করে রাজনীতি করা কঠিন হবে। তিনি কোনদিন ক্ষমতার লোভ করেননি। ক্ষমতায় যেতে চাইলে জীবনে যে কোনো সময় ক্ষমতায় যেতে পারতেন। মওলানা ভাসানী শ্রেষ্ঠতম অবদান হলো বাংলাদেশ। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বরিশাল-পটুয়াখালী সাইক্লোনে দশ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। সেই সময় ভাসানী সাহেব চীন সফরে ছিলেন। ভয়াবহ দুর্যোগের খবর শুনে চীন সফর অসমাপ্ত করে ছুটে আসেন নিজ দেশে। বড় সাইক্লোন হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পঁচিশ দিনের মধ্যে কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি।
শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনের জন্য একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার চিন্তাচেতনা ছিল পাকিস্তানী আগ্রাসন থেকে দেশকে কীভাবে মুক্ত করা যায়? ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধিকার আন্দোলনের ইঙ্গিত বহুল প্রমাণ দেয়। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের জনসাধারণ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এই মহান নেতার জন্যই আমরা স্বাধীন এবং তিনি কারো সামনে মাথা নত করেন নাই। যার জন্য বিশ্বের দরবারে তিনি অবিসংবাদিত নেতা। এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো নেতানেত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পাওয়ার কারণ, না ছিল ইলেকট্রনিক মিডিয়া, না ছিল প্রিন্ট মিডিয়া। জাতি একটি বিভীষিকাময় সময় অতিবাহিত করেছিল। এমন সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে এলো মেজর জিয়ার কণ্ঠ, “আমি মেজর জিয়া বলছি। আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।” ঘোষণাটি শোনার পর জাতি আশ্বস্ত হলো। এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন এ সত্য কথাটি কেউই প্রকাশ করেনি। যুদ্ধ যখন চরমে তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মেজর জিয়া এদেশের ক্রান্তিলগ্নে কা-ারী হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জনগণই তাদের স্বার্থে মেজর জিয়াকে সামনে নিয়ে এসেছে। তার শাসনামল খুবই অল্পসময়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে ঠেকানোর জন্য তিনি সার্ক গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সেই সাথে বাংলাদেশী জাতীয়তাবোধের চেতনা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু কি তাই? একদলীয় বাকশাল থেকে জাতিকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেন।
জিয়ার পরবর্তী সময়ে যে সকল নেতা এদেশে রাজত্ব করেছেন তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে তোয়াজ করেই ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক শাসনের মাধ্যমে এদেশকে নয় বছর শাসন করেছেন। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন ঘটে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ১৯৯০-এর নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে তেমন একটি তোয়াজ করতে দেখা যায়নি। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার শাসনামলে ভারতপ্রীতি লক্ষ করা যায়।
শুধু কি তাই? তার ক্যাবিনেটে তার মন্ত্রীবর্গ, তার আত্মীয়স্বজন প্রায় সবাই দেশের বাইরে লেখাপড়া করেন এবং নাগরিকত্ব লাভ করেন। শেখ রেহানা, তার ছেলে এবং মেয়েদ্বয় সবাই বিদেশের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলে ও মেয়ের উভয়েই আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন। এমনকি তার ছেলে একজন খ্রিস্টান মেয়েকে বিয়ে করেন। তারপরও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাকে দেশরতœ বলেন। বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে এতই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, ভারত ব্যতীত অন্য কোনো রাষ্ট্রই বন্ধু নয়। তার শাসনামলে তিনি যখনই ক্ষমতায় এসেছেন শেয়ারবাজার লুণ্ঠন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিটিসিএল ইত্যাদি লুটপাট হয়েছে। অতীতে কোনো সরকারের সময় তা দেখা যায়নি। এই টাকাগুলো তাহলে কোথায় গেল? সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতা না থাকলে এত টাকা লুট করা সম্ভব হতো না। এটাকেও এক ধরনের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বলা যায়। কিন্তু এতে তো দেশের এবং মানুষের কল্যাণ সাধিত হবে না। তাই সাম্রাজ্যবাদীর তোয়াজ না করে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের একমাত্র ব্রত।
য় লেখক : কলামিস্ট, রাজনীতিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন