শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অনলাইন কোর্ট চালুর সুপারিশ

আইনজীবীদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম | আপডেট : ১২:০১ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২০

বিনা বিচারে আটক কারাবন্দীদের মৌলিক মানবাধিকার ও সংবিধান স্বীকৃত অধিকার রক্ষায় করোনা বাস্তবতার মধ্যেই আদালতের কার্যক্রম চালুর পক্ষে অভিমত দিয়েছেন আইনজীবীরা। গতকাল সোমবার এক অনলাইন আলোচনা সভায় তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বিচারক-আইনজীবী-বিচার প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সীমিত পরিসরেই ‘অনলাইন কোর্ট’ চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে মত দেন তারা।
এছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে সীমিত আকারে হলেও আদালতের কার্যক্রম চালু করতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, গত ১৯ এপ্রিল মাননীয় প্রধান বিচারপতির নিকট অনলাইনে কোর্ট চালুর অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, শিগগিরই এ বিষয়টি নিয়ে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এছাড়া লকডাইনের এই পরিস্থিতে কিভাবে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে তা নিয়ে মহামারি করোনাভাইরাসের এই সময়ে বিচারপ্রার্থীদের অধিকার রক্ষায় অনলাইনের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে হলেও কোর্ট চালু করতে আইনজীবীদের দাবি জোরালো হচ্ছে। বিনা বিচারে কারাবন্দিদের অধিকার রক্ষা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য আদালত চালু করতে এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে এমন অভিমত উঠে এসেছে। জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটির সঙ্গে সোমবার এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অনলাইনে কোর্ট চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভার্চুয়াল অপারেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কনফারেন্স করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী। এতে ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দস কাজলও অংশ নেন। অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক, জুনায়েদ চৌধুরী, রাশনা ইমাম, সাকিব মাহবুব ও আনাম হোসেন আলোচনায় অংশ নেন। অনলাইনের এ আলোচনায় সকলেই এই অভিমত প্রকাশ করেন যে, বিদ্যমান করোনার পরিস্থিতিতে ভারত, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশগুলোর মতো প্রযুক্তি সুবিধা নিয়ে সীমিত আকারে হলেও কোর্টের কার্যক্রম চলতে পারে। তরুণ এই আইনজীবীরা বলেন, এভাবে আদালত একেবারে বন্ধ থাকলে বিনা বিচারে দীর্ঘকাল কারাগারে আটক থাকা ব্যক্তিদের অধিকার লংঘন হয়। এ সময় আলোচকদের একজন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় মৌলিক অধিকার প্রয়োগের বিষয়টিও স্থগিত রয়েছে যা সংবিধানের লংঘন। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের আওতায় নাগরিকরা এখন আইনের সুরক্ষা হতে বঞ্চিত রয়েছেন। তাই সীমিত আকারে অনলাইনে কোর্ট চালুর পক্ষে মত দেন আলোচকগণ।
ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অংশ নেয়া অ্যাডভোকেট আমান হোসেন বলেন, এই পরিস্থিতে সরকার খাদ্য চিকিৎসাসহ অনেকগুলো বিষয়কে জরুরি বিষয় ঘোষণা করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এর মধ্যেও চাল চুরিসহ ত্রাণ বিতরণে বেশ অনিয়ম হচ্ছে। এসব মৌলিক অধিকার রক্ষায় সংক্ষিপ্ত হলেও সুপ্রিম কোর্ট চালু রাখা যায় কি না সেটি ভেবে দেখা প্রয়োজন। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বারের দুই আইনজীবী করোনায় দীর্ঘ দিন ধরে আদালত বন্ধ থাকায় জরুরি মামলার নিষ্পত্তির জন্য অনলাইনে কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন