শ্রীনগরে পরকীয়া আসক্ত স্ত্রীর প্রতারণায় এক সৌদি প্রবাসী সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী মোঃ খোরসেদ আলম উপজেলার বাঘরা ইউনিয়নের মৃত ইসহাক মোল্লার ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানান ১৭বছর আগে বাঘরা ইউনিয়নের বৈচার পাড় এলাকার ইসহাক মোল্লার ছেলে খোরসেদের সাথে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাও গ্রামের চুন্নু শেখের মেয়ে রোকসানা রক্সির বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভালই চলছিলো।বিয়ের ৪বছর পর খোরসেদ সৌদি আরব চলে গেলে তার স্ত্রীর আচরণ গত পরিবর্তন দেখা দেয়।পরে নানান সময় তাদের পারিবারিক ঝামেলা ও হতো।তাদের পরিবারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
অভিযুক্ত খোরশেদ আলম জানান, বিয়ের ৪বছর পর আমি সৌদি আরব চলে যাই।সেখানে তেরো বছর যাবৎ একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি।ছুটিতে বছরে দুই একবার দেশে আসি।সব সময় স্ত্রীর সব চাহিদা পুরন করেছি।স্ত্রীকে সর্বমোট ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং দামি দামি মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছি।তার নামে তার বাবার বাড়ির পাশে সাড়ে ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করে দিয়েছি।তিন লাখ টাকার একটা ডিপোজিট করে দিয়েছি।আমার স্ত্রীর ভাতিজার কাছ থেকে ঢাকার একটি জমি ক্রয় করার জন্য নয় লাখ টাকা ও দিয়েছি।যা নিয়েও যায়গা দলিল করে দেয়নি আমাকে।যখন যত টাকা চেয়েছে দিয়েছি।কিন্তু এসব সে ব্যায় করেছে পরকীয়ায়।এখন সে আমার তেরো বছরের সব উপার্জন আত্মসাৎ করে তার বাবার বাড়ি অবস্থান নিয়েছে।বিয়ের পর থেকেও সে নানান অযুহাতে তার বাবার বাড়িই থাকতেন।
তিনি আরও জানান গত এক বছর আগে দেশে এসে আমি প্রথম জানতে পারি আমার স্ত্রী পরকীয়া আসক্ত।তখন তাকে খুব ভাল ভাবে বুঝাই, সে কথা দেয় এ শ সব আর করবে না। আমি সৌদি যাওয়ার পরে পুনরায় সে একই কাজ করে আমি যানতে চাইলে সে তা অস্বিকার করে। তখন আমি প্রমান উপস্থাপন করলে সে রেগে যায় এবং আমার কাছে ডিভোর্স চায়।খোরশেদ আলম জানান, আমার স্ত্রীর এমন আচরনে আমি গ্রামে শালিস ডাকলে সে আমাকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখায় এবং আত্মহত্যা করে আমাকে ফাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে খোরশেদ আলমের স্ত্রী রোকসানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যে।আমার কাছে তার কোন সম্পদ নেই।আমার স্বামী আমার কোন ভরন পোষন দেয়না তাই আমি ডিভোর্স নিবো।
এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি সাধারন ডাইরি (জিডি) করা হয়েছে যার নং ৫২।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন