বোরো ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে ও কৃষকদের মনোবল চাঙ্গায় রাতে সুনামগঞ্জের হাওর কায়েস্ত হাতে নামলেন জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের জলভাঙ্গা হাওরে এক কৃষকের ধান কেটে দেন প্রশাসনের স্থানীয় এই শীর্ষ কর্তা। তাদের সাথে যুক্ত হন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমাও ।
করোনাভাইরাস আতংক ও আগাম বন্যার পদধ্বনীতে দিশেহারা কৃষক। সুনামগঞ্জের বোরো ফসল নিরাপদে তুলতে দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও ধান কাটার জন্য কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহ প্রদানে এ উদ্যোগে মাঠে এসে শরিক হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এ সময় রাতে হাওরে ধান কাটার জন্য কৃষকদের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে প্রশাসন করবে বলেও জানায় তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রেরিত ৪০টি কোম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে যেনো কৃষকরা দ্রুত ধান কাটতে পারে সেজন্যও এ রাতের বেলায় ধান কাটার জন্য কৃষকদের উৎসাহ প্রদানে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
এব্যপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আমাদের ৪০টি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এগুলো দিনে ৮ ঘন্টা চলার পর বিরতি দিতে হয়। তাই চিন্তা আসলো যেহেতু দিনের বেলায় কাজ হচ্ছে এবং বিকেলে দিকে যন্ত্রটিকে বিরতি দেওয়া হচ্ছে, তাহলে সেটি রাতেও ব্যবহার করা যাবে। বন্যার আগে যদি শতভাগ ধান ঘরে তুলে সমর্থ হলে খাদ্য নিয়ে নিশ্চিন্তে কৃষকের পাশাপাশি আমরাও থাকবো।’ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি মো. আরিফ আদনান, উপজেলা কৃষি অফিসার সালাহ উদ্দিন টিপু, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এবছর বোরো আবাদ হয়েছে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার ছোট-বড় ১৫৪টি হাওরে দুই লাখ ২০ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে । উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন