দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার চারটিতে সম্পূর্ণ ও দুটিতে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এখন তা অকেজো। পরিস্থিতি এমনই যে বিভাগীয় সদর বরিশালে দিনের বেলা মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টি ও রাতের বেলা বেওয়ারিশ কুকুর লকডাউন পালনে মানুষকে বাধ্য করছে।
প্রথমদিকে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন পালনে মানুষকে বাধ্য করলেও এখন তা ঢিলেঢালা। ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভীড়। জাতীয় মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস বাদে সব যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
২০ এপ্রিল থেকে বরিশালেই প্রায় ২শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত মানুষকে ঘরে রাখতে বাধ্য করেছে অনেকটা। দক্ষিণাঞ্চলের হাটবাজারে এখন লকডাউনের প্রভাব নেই। অথচ প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বরগুনায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৬-এ পৌছেছে। অনেককে রাস্তায় মাস্ক ছাড়াই চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউনের আওতায় আনার অগেই বরিশাল মহানগরীতে মোটর বাইক নিষিদ্ধ হলেও তাতে এখন হেলমেট ছাড়া ৪ যাত্রীও ঘুরে বেড়াচ্ছে।
লকডাউন-এর নাজুক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, ‘মানুষ নিজে সচেতন হয়ে নিজেদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব না দিলে প্রশাসনিকভাবে তা মানানো যায়না’। অথচ চিকিৎসকদের দাবী ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লকডাউন মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে এ নির্দেশকে না মানায় চরম খেসারত দিতে হচ্ছে।
আবার করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহান প্রদেশে কঠিনভাবে লকডাউন মেনে চলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এ মরনব্যাধিকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পেরেছে। উত্তর কোরিয়া ও চীনের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম সহ অন্যান্য দেশ জনগণকে লকডাউন মেনে চলতে বাধ্য করায় করোনাকে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়েছে। আর আমাদের দেশের মানুষ প্রশাসনের নির্দেশ উপক্ষা করে ভারি বৃষ্টি আর বেওয়ারিশ কুকুরের ভয়ে ঘরে থাকছে’ !
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন