ড. মোহাম্মদ এমরান হোসেন
শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। এই মেরুদ- গঠনে যারা নিযুক্ত হবেন তাদের মেরুদ- কেমন হওয়া উচিত তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু জাতির মেরুদ- গঠনের কাজে নিযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ ইতোপূর্বে কীভাবে হতো তা সবার জানা। বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে নিয়োগ পেতে হলে প্রথমত সরকারি দলের লোক হতে হবে। দ্বিতীয়ত মোটা অংকের টাকা থাকতে হবে। তৃতীয়ত ক্ষেত্রবিশেষে পেশিশক্তির অধিকারী হতে হবে। চতুর্থ পর্যায়ে কখনো কখনো মেধার প্রয়োজন হয়। নিয়োগ বাণিজ্য প্রকট আকার ধারণ করেছিল। প্রতিষ্ঠান প্রধান, সভাপতি, ডিজির প্রতিনিধি, নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য সবাই নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। সবার উপরে থাকত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। নিয়োগ বাণিজ্যের ফায়দা লুটার জন্যই ভালো ভালো বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে প্রতিযোগিতা হয়, যে ধরনের টাকা খরচ করা হয়, যে ধরনের ভোট বেচাকেনা করা হয় তা জাতীয় নির্বাচনকে হার মানিয়েছে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য হতে পারলেই নিয়োগ বাণিজ্য থেকে আগত এবং অন্যান্য আয়ের তিনি একজন অংশীদার। সভাপতি মানেই তিনি আয়ের বড় অংশের মালিক। অর্থাৎ তারা যেন নির্দিষ্ট একটি মেয়াদকালের জন্য বিদ্যালয়টি টেন্ডার নিলেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ডিজির প্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে তার মনোনীত প্রার্থীকে নেওয়ার জন্য আগেই প্রশ্ন সরবরাহ করে দেন। মেধাবী ছেলেরা বোকার মতো পরীক্ষা দিয়ে আফসোস আর মনোকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেন। কখনো কখনো দেখা যায় প্রতিষ্ঠান প্রধান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, তিনি মেধা তালিকার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ স্থান অধিকারকারীকেই নেবেন। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঠিক করে রেখেছেন কাকে তিনি চাকরি দেবেন। তার মনোনীত ব্যক্তিকে সরবরাহকৃত প্রশ্নগুলোই তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সামনে করেন। গোবেচারা প্রতিষ্ঠান প্রধান ভাবলেন নিয়োগ পরীক্ষাটি খুব সুন্দর হয়েছে।
ডিজির প্রতিনিধিদের কত মজা। তারা তিন-চার ঘণ্টা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে এসে দশ-পনের হাজার টাকা পেয়ে যান। দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দিতে পারলে তো সেখানে লাখ লাখ টাকার ব্যাপার। এক সময় বিভাগীয় পর্যায়ে একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষই পুরো বিভাগের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিদিন তাদের কত আয় হয়েছে তারাই জানেন। পরবর্তীতে নিকটতম সরকারি কলেজের প্রিন্সিপালকে ডিজির প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়।
এক সময় এনটিআরসিএ (শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ)-এর সনদ গ্রহণ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত করার শর্তারোপ করলে স্বল্প মেধাবীদের ছাঁটাই করার পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, শেষের দিকে সেই নিবন্ধন সনদও টাকার বিনিময়ে পাওয়া গেছে। তাছাড়া নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও বাণিজ্য হয়েছে। বর্তমানে সেই বিষয়ের আংশিক সুরাহা হয়েছে। প্রবেশকালীন শিক্ষক (প্রধান, সহকারী প্রধান এবং যে সমস্ত পদে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন এমন শিক্ষক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ও গ্রন্থাগারিক ব্যতীত) নিয়োগ বর্তমানে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও মাদরাসার পরিচালনা কমিটির হাতে নেই। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষই নিয়োগ দেবে। বর্তমানে এনটিআরসিএর নিবন্ধন পরীক্ষা আরো উন্নত। বিসিএস ক্যাডারের মতোই প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, তারপর লিখিত পরীক্ষা, তারপর মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা যাচাই করে একটি মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ সংশোধনীর জন্য শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব শিক্ষামন্ত্রীকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। শিক্ষা সংস্কারে তার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। যদি তিনি প্রধান ও সহকারী প্রধানের পদটিও নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রমোশনের মাধ্যমে পূরণের ব্যবস্থা করতেন তাহলে আরো ভালো হতো। আশা করি, অচিরেই এটিরও সুরাহা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার মান খুব উন্নত। মাঝে-মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অযোগ্যরা স্থান পেয়ে যায়, সেটি খুবই দুঃখজনক। উচ্চ মহলের মাধ্যমে কিছু দুর্নীতি হয় বলে জনশ্রুতি আছে। তবে সেটি খুবই নগণ্য বলে আমার বিশ্বাস। কাজেই সার্বিকভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শতকরা ৯৫ শতাংশই সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিরাই নিয়োগ পায় বলে ধরা যায়। সরকারি কলেজের ক্যাডার পদের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার মান ভালো হলেও মৌখিক পরীক্ষায় খুব বেশি নম্বর রাখা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় খুব বেশি নম্বর রাখার অর্থই হলো যোগ্য ব্যক্তির অধিকারকে খর্ব করে অযোগ্যকে নেওয়ার পথ প্রশস্ত করা। তবে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে অযোগ্যরা বাদ পড়ে যোগ্য প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ পান। সে ক্ষেত্রে তুলনামূলক অধিক যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে কম যোগ্যকে নেওয়ার দুর্নীতির পথটি থেকেই গেছে।
এবার নজর দেব দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। সেকাল থেকে একাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি ভালো দিক হলো সেখানে নকল হয় না। এরকম আরও অনেক ভালো দিক আছে। আবার অনেক খারাপ দিকও আছে। সবচেয়ে খারাপ দিক হলো শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সর্বোচ্চ অনিয়ম হওয়ার কথা শোনা যায়। এখানে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষাই যোগ্যতা যাচাইয়ের আসল মাপকাঠি। মৌখিক পরীক্ষা সনদ যাচাই, প্রার্থী আসল না নকল ইত্যাদি কতিপয় বিষয়ের জন্য হওয়া উচিত, শুধুমাত্র যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র উপায় হওয়া সমীচীন নয়। শুধু কি তাই, মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয় লোক দেখানোর জন্য। জনশ্রুতি আছে যে, পরীক্ষার দিনের আগেই ঠিক করে নেওয়া হয় কোন কোন প্রার্থীকে নেওয়া হবে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থী নির্ধারিত হওয়ার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেতে হলে এমপি/মন্ত্রী/মেয়রের প্রার্থী হতে হবে। অথবা ভিসির প্রার্থী হতে হবে। অথবা বিভাগের চেয়ারম্যানের প্রার্থী হতে হবে। অথবা বিভাগের শিক্ষকদের আত্মীয়স্বজন হতে হবে। এভাবে আগেই ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। একজন ব্যক্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারলে তার সন্তান-সন্তুতির জন্য পোষ্য কোটায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়া সহজ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষকদের সন্তান সন্তুতি, ভাই-বোন, জামাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়স্বজনের অলিখিত কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। প্রভাবশালী হওয়ার সাথে সাথে যদি ক্ষমতাসীনদের মালিশ করার জন্য তাদের দু-এক কলস তেল থাকে তবে তাদেরকে আর কে ঠেকায়।
শিক্ষকদের স্বজনপ্রীতির বিষয়টির পক্ষে দৃশ্যমান প্রমাণ রয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি একজন শিক্ষকের পরিবারের আট/দশ জন চাকরি পেয়ে যায় তবে কারো কিছু বলার নেই। মন্ত্রী/এমপি/ভিসি/বিভাগের চেয়ারম্যানের অলিখিত কোটার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। এটি সবাই জানেন। কিন্তু এর স্বপক্ষে কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই ধরে নিলাম জনশ্রুতিটি মিথ্যা। তবে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া যে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না তার পক্ষে কোনো দৃশ্যমান প্রমাণের প্রয়োজন নেই। অনেক সময় দেখা গেছে যে, চারটি সনদই প্রথম শ্রেণি তাকে নেওয়া হয়নি। কিন্তু চারটি সনদই দ্বিতীয় শ্রেণি বা তৃতীয় শ্রেণিও আছে এমন লোককে নেওয়া হয়েছে। এটিও দৃশ্যমান প্রমাণ। এমনও শোনা গেছে কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে একজন ছাত্রী পাস করার পর কোথাও কোনো চাকরি না পেয়ে ১৪ বছর যাবৎ একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি করে হঠাৎ করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি হয়ে যায়। জানা গেছে, উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে তার চাকরি হয়। উচ্চ মহলকে খুশি করতে কত কলস তেল লেগেছে এর হিসাব জানা যায়নি।
বিসিএসের অন্যান্য ক্যাডারের কথা বাদই দিলাম। সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথাই ধরা যাক। সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যে বিষয়েরই শিক্ষক হতে চান না কেন তাকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলী ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ৩০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০, সর্বমোট ২০০ নম্বরের ১০টি বিষয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ১০০, ইংরেজি ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০, সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়-২০০, মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। এরপর অনুুষ্ঠিত হয় ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
একজন কলেজ শিক্ষকের জন্য উল্লিখিত বিষয়গুলোর জ্ঞানের প্রয়োজন কিন্তু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য প্রয়োজন নেই, এটি কেমন কথা! একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষককেও তার নিজস্ব বিষয় ব্যতিরেকে ওই বিষয়গুলোর যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। এমনকি একজন প্রাথমিক শিক্ষকের ক্ষেত্রেও ওই বিষয়গুলো প্রযোজ্য। কাজেই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ওই বিষয়গুলোর ওপর উচ্চ মানের প্রশ্নের মাধ্যমে যোগ্যতার পরিচয় দেওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জ্ঞানী-গুণী ও প-িত ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, যাদের কথা মনে পড়লেই শ্রদ্ধায় অন্তর ভরে যায়। কিন্তু যখন শুনি অমুক ব্যক্তি অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন, যিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন না, তখন খুব খারাপ লাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটিই অত্যন্ত শ্রদ্ধার, অত্যন্ত সম্মানের। এখানে লেখাপড়া করেই মহান ব্যক্তিরা দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো অলংকৃত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। দেশের বিভিন্ন সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরাই দেশের কর্ণধার। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেরুদ- শক্ত না হলে দেশের কর্ণধারদের মেরুদ-ও শক্ত হবে না। ফলে দেশ পিছিয়ে পড়বে। কাজেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি মানদ- নির্ণীত হওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মান ভালো হলে সেখান থেকে ভালো ছাত্র বের হবে। ভালো ছাত্র বের হলে দেশ ভালো বিচারক পাবে, ভালো উকিল পাবে, ভালো পুলিশ সুপার পাবে, ভালো প্রশাসনিক কর্মকর্তা পাবে, ভালো রাজনীতিবিদ পাবে এবং স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ভালো শিক্ষক পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সর্ব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদর্শ স্থাপন করবে এটাই জাতির আশা। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠকে রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে রেখে মেধাবীদের জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত করা হবে এটাই সবার কাম্য।
লেখক : প্রিন্সিপাল, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ. কে. কামিল মাদরাসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন