সুযোগের অপেক্ষায় ডেঙ্গু
করোনাভাইরাসের আক্রমণে স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং স্বভাবসুলভ চঞ্চলতার স্থবিরতায় দেশে আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর সারি। প্রতিষেধকহীন কঠোর সচেতনতার এই ক্রান্তিকালের শেষ কখন তাও অজানা। আর এই গভীর সংকটের মাঝেই ছোবল মারার সুযোগ খুঁজছে পরিচিত ত্রাস ‘ডেঙ্গু’। ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী স্ত্রী এডিস মশার প্রজননে আশীর্বাদস্বরূপ বৃষ্টিও ইতোমধ্যেই নেমে গেছে। এর একাধিক উপসর্গ যেমন, তীব্র জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যাথা, জ্বর কমে গিয়েও প্রভাব থেকে যাওয়া ইত্যাদি করোনার সাথে মিলে যায়। গত বছর ডেঙ্গু লক্ষাধিক মানুষকে আক্রান্ত করে প্রায় ৩০০ জনের প্রাণ নিয়েছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবায় সংশ্লিষ্ট সকলেরই মাথা ব্যাথার নাম করোনা। সংক্রমিত হয়ে অনেক চিকিৎসক, সেবিকা ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থকর্মী কোয়ারেন্টাইনে। সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউনে সরকারি একাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিক। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্রমবর্ধমান চাপে অন্যান্য রোগীরা সেবা বঞ্চিত। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশই এই ক্রান্তিকালে সেবা প্রদান হতে বিরত। তাই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলেও সেবা প্রাপ্তির সুযোগ ক্ষীণ। এমতাবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতাই মূল ভরসা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের মশার বংশবৃদ্ধি রোধে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌর কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো কর্মসূচি চালালেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে এর জীবাণুবাহিত স্ত্রী এডিস মশার প্রজনন রোধে বাসাবাড়ি ও এর চারপাশে বৃষ্টির বা অন্য কোনো উৎসের পানি জমতে না দেওয়া, ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি সতর্কতামূলক কর্মকান্ডে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ও সচেতনতা সময়ের দাবি। আবু ফারুক
বনরুপা, বান্দরবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন