শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ চায় ১ হাজার কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম

দরিদ্রদের ছোট উদ্যোক্তায় পরিণত করতে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার জনকে সুদমুক্ত ক্ষদ্রঋণ প্রদান করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আরও ঋণ প্রদানের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থমন্ত্রণালয়েকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় ১ লাখ ৯৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ হিসেবে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ কোটি টাকা এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ২৩.৪৭ কোটিসহ সর্বমোট ২৬ কোটি ৪৭ লাখটাকা দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং ৫৬ হাজার নিবন্ধিত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদানে ত্রাণকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনা মাকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার আওতায় ৮০ লাখ ৯ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে ভাতা বিতরণের কাজ চলছে। সে গুলো হচ্ছে- বয়স্কভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৪৪ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচিতে ১৭ লাখ, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা কর্মসূচিতে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচিতে একলাখ, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫,৭৬৭, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭১ হাজার, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৫০ হাজার, ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগী, প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তাপ্রদান কর্মসূচিতে ৩০ হাজার এবং বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান ৯৭ হাজার ৫০০ জন।
সকল সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় কিস্তির নিয়মিত ভাতাবিতরণ এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৪র্থ কিস্তির অগ্রীমভাতাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির ভাতা বিতরণ প্রায় ৭৫% প্রদান সম্পন্ন হলেও ঈদুল ফিতরের আগেই সকল ভাতা বিতরণের কাজ সম্পন্ন হবে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১১ লাখ ভাতাভোগী অনলাইনে মাধ্যমে ভাতা পাচ্ছেন এবং আগামী ডিসেম্বর-২০২০ এর মধ্যে সকল ভাতাভোগীকে এ পদ্ধতির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে চলমান সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার জন এবং সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ আদায়ের হার গড়ে ৯০ শতাংশ। বর্তমানে সারা দেশে জেলা-উপজেলাপর্যায়ে সর্বমোট ৫২৩টি হাসপাতাল সমাজসেবা ইউনিটের মধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ জেলাপর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১০৪টি ও উপজেলা পর্যায়ে ৪১৯টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন