শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনাজয়ীরা প্লাজমা দিলেন- একজন মানবিক ডাক্তারের পাশে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত একজন মানবিক ডাক্তারকে সারিয়ে তুলতে এক কাতারে সবাই। আছেন সহকর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে তার রোগীরাও। তাকে বাঁচাতে প্লাজমা দিয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ দুইজন।
রোগীবান্ধব ডা. মো. সমিরুল ইসলাম চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। একদল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ডা. সমিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোনা ইসলাম ও তাদের দ্ইু সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হন। এতে বিপর্যস্ত পুরোপরিবার। শুরুতে সমিরুল বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে ২১ মে তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে সব ধরনের চেষ্টার পরও অবস্থার অবনতি ঘটে। অক্সিজেনের সেচুরেশন কমে গেলে তাকে নিতে হয় আইসিইউতে। শেষ চেষ্টা হিসাবে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে করোনায় সুস্থ রোগীদের কোন তথ্য না থাকায় দেখা দেয় বিপত্তি। এরপরও সবাই মাঠে নেমে পড়েন। কিছু রোগীর সন্ধান মিলে তবে তাদের সাথে রক্তের গ্রুপ মিলছিলো না। আবার দ্রুত সময়ও ফুরিয়ে আসছে। তাতেও হাল ছাড়েননি তার শুভাকাঙ্খিরা। সাতকানিয়ার মোহাম্মদ তারেক নামে একজনের খোঁজ পান ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান। তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে এ চিকিৎসকের জীবন বাঁচাতে প্লাজমা দিতে ছুটে আসেন তারেক। ২৬ মে সমিরুলকে প্রথম প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়। করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামে এটিই প্রথম প্লাজমা থেরাপি। দ্বিতীয় দফায় প্লাজমা দেওয়ার উদ্যোগে এগিয়ে আসেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম। তিনি করোনাজয় করে ফেরা নগর পুলিশের প্রথম সদস্য অরুণ চাকমাকে প্লাজমা দিতে পাঠান।
করোনা মোকাবেলায় কমিটির স্বাচিপের বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, দুদফা প্লাজমা দেয়ার পর এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল, আশা করি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। তাকে সারিয়ে তুলতে চিকিৎসক, পুলিশ, পরিচিতজনরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা নজিরবিহীন।
ডা. সমিরুলের বন্ধু চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল বলেন, অসাধারণ মেধাবী এবং মানবিক এ চিকিৎসকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। যারা কিছুই করতে পারেনি বিশেষ করে তার রোগীরা তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করছেন। তার স্ত্রী এবং সন্তানদের অবস্থা এখন ভালো বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন