পুলিশ হেফাজতে যে কালো মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সেই জর্জ ফ্লয়েডের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের পেয়ারল্যান্ডের একটি কবরস্থানে পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২৫ মে মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। সামনে আসা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তাকে রাস্তায় উপুড় করে ফেলে রাখা হাতকড়া পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু তুলে দিয়ে প্রায় নয় মিনিট ধরে চেপে রাখতে দেখা যায়। টেক্সাসের হিউস্টনের ফাউন্টেইন অব প্রেইস গির্জায় ফ্লয়েডের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। ফ্লয়েডের পরিবারের সদস্যরা, পাদরীবর্গ ও রাজনীতিকরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চার ঘন্টা ধরে চলা এই শেষকৃত্য যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানে ফ্লয়েডের ভাইঝি ব্রুকলিন উইলিয়ামস বলেন, “আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি। যতক্ষণ আমার নিঃশ্বাস আছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবেই। এটা শুধু একটা খুন না এটা ঘৃণাজনিত একটি অপরাধ।” উইলিয়ামসহ শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া ফ্লয়েডের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সবার পরনে ছিল সাদা পোশাক। অনুষ্ঠানে নাগরিক অধিকার আন্দোলনকারী রেভারেন্ড আল শার্পটন ফ্লয়েডকে হিউস্টনের একটি হাউজিং প্রজেক্টে বেড়ে ওঠা ‘একজন সাধারণ ভাই’ অভিহিত করে বলেন, মহৎ উত্তরাধিকার রেখে যাবেন সেই উদ্দেশ্যেই যেন ঈশ্বরের ইচ্ছায় খেলাধুলা, চাকরি সবকিছুতেই ফ্লয়েডে যা হতে চেয়েছেন তা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। “ঈশ্বর সেই প্রত্যাখ্যাত পাথরটিকেই বেছে নিয়ে এমন এক আন্দোলনের স্তম্ভ করে তুললেন যা পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে যাচ্ছে,” নিউ টেস্টামেন্ট থেকে বাইবেলের উপমা ধরা করে তিনি এমনটি বলেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। শার্পটন জানান, আগামী ২৮ অগাস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৯৬৩ সালে লিঙ্কন মেমোরিয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার র্কি জুনিয়রের দেওয়া ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ বক্তৃতার ৫৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে, সেদিন মিছিলের নেতৃত্বে থাকবে ফ্লয়েডের পরিবার। সিএনএন, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন