কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসলো বিশালাকারের মৃত তিমি। স্থানীয়রা কয়েকদিন আগে থেকে কয়েকটি জীবিত তিমি খেলা করতে দেখতে পায়। এর দুইদিন পর ২২ জুন সকালে মৃত তিমিটি ভেসে কূলে আসে।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান- টেকনাফের সমুদ্র সৈকত ও নাফনদীর সংযোগ স্থলের মোহনা ঘোলারচর পয়েন্টে একটি বিরল প্রজাতির মাছটি দেখতে পায়। প্রথমে মাছটির উপরের অংশ দেখে মনে হয়েছে এটি ডলফিন আর পেটের নিচের অংশ দেখে মনে হয়েছে এটি তিমি। এটি তিমির বাচ্চাও বলা ঠিক হবে না; কারণ এটির সাইজে দেখে মনে হচ্ছে মধ্য বয়সী একটি তিমি। বর্তমানে মাছটি ঘোলারচর পয়েন্টের বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে গভীর সাগরে প্রাকৃতির দূর্যোগের কবলে পড়ে মাছটি আহত হয়। পরে ওটি আহতাবস্থায় নিষ্প্রাণ হয়ে উপকুলে ভেসে আসে।
তিনি আরো জানান- হয়তো মৃত তিমির বাচ্চাটি ব্লকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্তও হয়। পরে জোয়ারের পানিতে বারবার ব্লকে আটকা পড়লে স্থানীয় যুবক ও জেলেরা এটিকে সাগরে ফিরে যেতে সহায়তা করে। ওই তিমিটি ব্রীডস হোয়লে প্রজাতির তিমি হতে পারে। কারণ এখন তো সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, যদি সাগরে জেলেরা মাছ ধরতো তখন বলা যেত জেলেদের আঘাতে সেটি মারা গেছে। এখন তো সেটিও বলা যাবে না। হয়তো অসুস্থতার কারণে বিভ্রান্ত হয়ে টেকনাফ সৈকতের কিনারায় এসে তিমিটি মারা যায়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবিএম আবুল হোসেন রাজু বলেন, একের পর এক সৈকতে আমরা বিরল দৃশ্য দেখছি। কিছুদিন আগে কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসে। এবার মৃত তিমি ভেসে আসলো। সত্যি এটা আমাদের জন্য দুঃসংবাদ।
এব্যাপারে বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক আহমদ জানান- বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করতে লোক পাঠানো হচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন