শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার সৈকতে ২০ ঘন্টার ব্যবধানে ভেসে এল দুইটি মরা তিমি

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৩৮ পিএম | আপডেট : ৪:৫৯ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১

কক্সবাজার সৈকতে আজ শনিবার আরো একটি মরা তিমি ভেসে এসেছে। এনিয়ে ২০ ঘন্টার ব্যবধানে কক্সবাজার সৈকতে দুইটি মৃত তিমি ভেসে এল। গত শুক্রবার হিমছড়ি সৈকতে ভেসে উঠা স্থানের আরো একটু দক্ষিণ দিকে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে শনিবার সকালে এই তিমিটি ভেসে আসে।

ভেসে আসা দুইটি তিমিই একই প্রজাতির এবং প্রায় একই সাইজের। একইভাবে দুইটি তিমিই মৃত এবং ক্ষতবিক্ষত। বিভিন্ন অংশে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।

সাগরে এভাবে একের পর এক মৃত তিমি ভেসে আসার বিষয়টি পরিবেশবিদদের মাঝে নানা ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ভেসে আসা তিমিটি আটকে পড়ার স্থানে পুঁতে ফেলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লোকজন।

শনিবার হিমছড়ি সৈকতে আরো একটি তিমি ভেসে আসার খবরে প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। সবাই মনে করেছিল আগের দিনের ভেসে আসা তিমির খবর এখনো প্রচার করা হচ্ছে।

সকালে তিমিটি ভেসে উঠার স্থানে এই  প্রতিবেদকের কথা হয় মেরিল লাইফ এলায়েন্স এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন শুক্রবারের তিমি আর এই তিমি (বেলিন হুয়েল) একই প্রজাতির। এই গুলো আমাদের এই বঙ্গোপসাগরে ও বসবাস করতে পারে। এগুলো পর্ণ বয়স্ক হলে ৫০ থেকে ১০০ টন ওজনের হতে পারে।

তিনি আরো বলেন নীল তিমি গুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। ওগুলো সাধারণত মহা সাগরে থাকে। ৪৩ ফুট লম্বা এবং ১৪ ফুট প্রস্ত এই তিমিটির ওজন ৪০/৫০ টন হতে পারে। তাঁর ধারণা বড় জাহাজ চলাচলের পথে কোথাও আগাত পেয়ে তিমি গুলো মরে গেছে ১০/১৫ দিন আগে। এরপর জোয়ারের পানিতে উপকুলে ভেসে আসে।

তারা তিমিটির বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান জহিরুল ইসলাম।

খবর নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ। তিনি তিমিটি দ্রুত মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন