শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপকূল এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

রাজধানীতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় রেখে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দূর্গত উপক‚লীয় এলাকায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্ত¡রে নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপক‚ল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি করা হয়। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপক‚ল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র মিহির বিশ্বাস, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, কেএনএইচ জার্মানির প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মুকুল, স্ক্যান সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকির, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মুয়াজ ও তৌফিক অরিন, এনসিসিবি’র মাহবুবুর রহমান অপু, লিডার্সের খাদিমুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী ইমরান হোসেন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান আবারো জানান দিলো, যতই সংস্কার করা হোক না কেন, ৬০ দশকে তৈরি করা আয়তনে ছোট উপক‚লীয় বেড়িবাঁধ কোন ভাবেই ওই অঞ্চলকে সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই দ্রুত জলবাযু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বিবেচনায় রেখে নতুন পরিকল্পনায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাঁধের নিচে ১০০ ফুট ও উপরে ৩০ ফুট চওড়া করতে হবে। যার উচ্চতা ৩০ ফুট করার সুপারিশ করেন তারা।
বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। দুর্গত এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের কোন ভূমিকা নেই। অথচ এই বাঁধ ভেঙে গেলে যে চরম দুর্যোগ তৈরি হয় তার ধকল স্থানীয় সরকারকে পোহাতে হয়। তাই বাঁধ ব্যবস্থাপনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের আওতায় একটি জরুরি তহবিল গঠন করতে হবে। বাঁধ ব্যস্থাপনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় দুর্গত উপকূলীয় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে টেকসই ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন সংগঠন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন