মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্যাংগংয়ের ভূখন্ডে আঁকা চীনের প্রতীক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে গতকাল মঙ্গলবারই কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসার কথা ভারত ও চীনের। তার মধ্যেই নতুন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, শুধু গালওয়ান উপত্যকা নয়, প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পয়েন্টগুলোতেও চীন নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করেছে। ২৮ জুনের ওই ছবি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বেড়ে গেছে।

উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট দেখা গেছে, ফিঙ্গার ৪ এবং ফিঙ্গার ৫ এর মাঝে বিশালাকার চীনা লিপি ও প্রতীক একে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই দুই ফিঙ্গার পয়েন্টের মাঝে প্রচুর অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে ফেলেছে চীনা বাহিনী। মজুত করেছে অস্ত্রশস্ত্রও। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, গত মে মাসের শুরুর দিকে প্যাংগং লেক বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন সেনা মজুতের পর থেকেই ফিঙ্গার ফোর এর পরে আর টহল দিতেও দেয়া হচ্ছে না ভারতীয় বাহিনীকে। নতুন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এবং ফিঙ্গার ৫ এর মধ্যে অন্তত ৮১ মিটার লম্বা ও ২৫ মিটার দীর্ঘ এলাকায় চীনা হরফে লেখা এবং প্রতীকচিহ্ন আঁকা হয়েছে। আরও দেখা গেছে, শুধু প্যাংগং লেকের ধার বরাবর নয়, আরও অন্তত ৮ কিলোমিটার ভারতের দিকে ঢুকে ঘাঁটি গেড়েছে চীনা বাহিনী। গড়ে তোলা হয়েছে ১৮৬টি ছোট বড় অস্থায়ী তাঁবু ও কুঁড়েঘর। ফিঙ্গার-৫ এর কাছে একটি নজরদারি বিমানও দেখা গেছে বলে উপগ্রহ চিত্র ব্যাখ্যা করে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের ধার বরাবর চীনের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই ফিঙ্গারপয়েন্টগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত মনে করে, ফিঙ্গার ১ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত পুরো এলাকায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে চীন দাবি করে, ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাদের বাহিনী টহল দিতে পারে এবং সেই অধিকার তাদের রয়েছে। এত দিন পর্যন্ত দুই সেই ভাবেই চলছিল। ভারতীয় সেনা শেষ প্রান্ত অর্থাৎ ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত টহল দিত।

মে মাসের শুরুর দিকে প্যাংগং লেক বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করে চীন। ভারতও সেনা সমাবেশ ও রসদ মজুত করে। সূত্রের খবর, সেই সময়ের পর থেকেই ফিঙ্গার ৪ এর পর আর ভারতীয় সেনাকে টহল দিতে দেয়া হচ্ছে না। ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীকে যেতেই দেয়া হচ্ছে না। টহলদারিও বন্ধ। বর্তমানে ওই ফিঙ্গার ৪-ই কার্যত সীমান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ যে, ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত এসে নির্মাণ কাজও শুরু করেছে চীনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তবে ফিঙ্গার ১ এবং ফিঙ্গার ২ পর্যন্ত চীনা বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সূত্র : এনডিটিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মাসুদ ১ জুলাই, ২০২০, ২:১৫ এএম says : 0
চীনের জন্য শুভ কামনা রইলো
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন