শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ৫০ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ৩:০২ পিএম

নেছারাবাদে এক হত দরিদ্র মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ৫০হাজার টাকায় আপস মীমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবিতে মেয়েটির পিতা খায়রুল ও দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দিয়েছেন।নেছারাবাদ উপজেলা করফা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানায় ছাত্রীটির পিতা দ্বীন ইসলাম শেখ বাদী হয়ে ঘটনায় খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে ধর্ষক অভিযুক্তে আসামী দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ছাত্রীকে মেডিকেল করানোর জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠায়েছেন।

বিবরনে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেনীর ওই মাদ্রাসা ছাত্রী লেখা-পড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত। সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল তাকে প্রায়ই কু প্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত। ঘটনার দিন নাসরিন তার স্বামী বাড়ী নেই বলে তার কাছে ছাত্রীটিকে থাকার জন্য বলেন। ছাত্রীটি রাজি হয়ে ওই বাড়ী গেলে সুযোগে সেখানে খাইরুল ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে হাতপা বেধে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারকে উপযুক্ত মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন। ২৭ জুন মেয়েটির পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে ছাত্রীর পরিবার রাজি না হওয়ায় ওই পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মামলার বিষয়টি ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা করা বা কাল ক্ষেপন করা বেআইনী। ভিকটিমকে মেডিকেল করানোর জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন