চট্টগ্রাম নগরীতে ভাইয়ের শিশু পুত্রকে গলা কেটে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন অভিযুক্ত খুনি। পুলিশের গুলিতে নিহত জসিম উদ্দিন রাজু নির্মম খুনের শিকার তিন বছরের শিশু মেহেরাব হোসেনের বড় চাচা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া এলাকায় জনৈক মো. রাশেদের ছেলে মেহেরাবকে (৩) খুন করে তার চাচা জসিম উদ্দিন রাজু। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে একই থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় হত্যাকারী জসিম ও তার সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ। ওই বন্দুকযুদ্ধে জসিম আহত হলে পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. জসিম উদ্দিন রাজু (৩২) নগরীর হাজীপাড়া এলাকার মৃত মনির আহমেদের ছেলে। মেহেরাবের মা নিলু আক্তারের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তার ছেলে মেহেরাবকে গলা কেটে খুন করে ভাসুর জসিম উদ্দিন রাজু। এই ঘটনায় নিলু আক্তার বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতে জসিমকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ।
রাত সাড়ে ৩ টায় নগরীর পশ্চিম ঝর্ণাপাড়া জোড় ঢেবারপাড় এলাকায় জসিম ও তার সহযোগীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় জসিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় পুলিশ। সেখানে বুধবার ভোর ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি এলজি, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, খুনে ব্যবহৃত একটি বিদেশি ছোরা এবং ৮৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায় , নিহত জসিম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্য খুন-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা আছে। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি জসিম ও তার সহযোগীরা মিলে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় সিএমপির পুলিশ সদস্য নায়েক ফরিদউদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। ২০১৮ সালের ১৪ মে নগরীর হাজীপাড়া এলাকার খোরশেদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে জসিম আবারও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন