শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাঁচ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও ভার্চুয়ালের সুফল না পাওয়ার অভিযোগ

জয়নুল আবেদীনের ছয় দফা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ১০:১৮ পিএম

দেশের তিন শতাংশ আইনজীবীও ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেননি। ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও এর কোনো সুফল পাননি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালত নিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই ক্ষোভের সুরাহা হওয়া দরকার। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিচারিক আদালতগুলোতে নিয়মিত কোর্ট না খুললে অনেক আইনজীবীকে হয়তো পেশাই ছেড়ে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

জয়নুল আবেদীন বলেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে অফিস, দোকানপাট, মিল, কল-কারখানা, বাস, লঞ্চ খুলে দেয়া হয়েছে। এতে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় সাময়িক ব্যবস্থা হিসাবে প্রধান বিচারপতি অল্প কয়েকজন বিচারপতিকে নিয়ে ভার্চুয়াল আদালত চালু করেন। নিঃসন্দেহে এটা ভালো একটি কাজ হয়েছে। এজন্য প্রধান বিচারপতি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু সাধারণ আইনজীবীরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন যে, ভার্চুয়াল পদ্ধতিকে একটা স্থায়ী পদ্ধতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটিকে সাধারণ আইনজীবী ও বার (আইনজীবী সমিতি) সংশ্লিষ্ট সকল আইনজীবী এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এখন অবস্থান নিয়েছেন।
বারের সাবেক এই সভাপতি মনে করেন, ভার্চুয়াল আদালত চিরস্থায়ী কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। তাই এ অবস্থা নিরসনে ব্যক্তিগতভাবে ৬ দফা প্রস্তুাব পেশ করেছেন। (ক) স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় আদালত খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ, যাতে সাধারণ আইনজীবীরা বিচারপ্রার্থী মানুষের পক্ষে কাজ করতে পারে। (খ) বিচারপতিকে মোশন (মামলা গ্রহণের) ক্ষমতা দিয়ে সপ্তাহে আপতত ৩ দিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত আদালত চালানো যেতে পারে। (গ) আইনজীবীরা এবং বিচারপতিরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। আইনজীবী সমিতি এবং আদালত প্রশাসন কোর্টে বসার ব্যবস্থাপনা একইভাবে করা যেতে পারে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরভাবে প্রতিপালিত হয়। (ঘ) বর্তমানে ব্যবস্থা চলাকালে কোনো সদস্য নন এইরূপ কোন আইনজীবী যাতে আদালতে প্রবেশ করতে না পারে, তা আইনজীবীর সমিতি নিশ্চিত করবে। (ঙ) যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের কোনো অরিজিনাল জুরিসডিকশন নেই, তাই মক্কেল তার নিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে আদালত অঙ্গনের বাইরে আলোচনা করবেন। (চ) নিম্ন আদালতগুলোও একই পদ্ধতিতে খোলা রাখা যেতে পারে, যাতে আইনজীবীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিচার ব্যবস্থা সম্পন্ন হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন