ড. ইশা মোহাম্মদ
গ্রেট ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। গণভোট বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে। যারা পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের বয়স এবং পারিবারিক ঐতিহ্য বিবেচনা করলে দেখা যাবে, তারা বেশি বয়স্কতার কারণে এবং পারিবারিক ও সামাজিক কারণে রক্ষণশীল। যারা ইউরোপের সাথে থাকতে চেয়েছেন তারা অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং সব হিসেবেই প্রগতিশীল। ব্রিটেনের সেই অতীতকালের প্রগতিশীল ও রক্ষণশীলদের দ্বন্দ্ব আবার প্রকট হয়ে উঠেছে। যদিও বর্তমানে যাপিত জীবনে শত বর্ষের রক্ষণশীলতা একেবারেই লোপ পেয়েছে, তবুও বেশি বয়স্করা রাজতন্ত্রকে যেমন বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন, তেমনি ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন। যা মূলত সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাবে ব্রিটেনকে। এই গণভোটের জয় আবারও প্রমাণ করল, কেবলমাত্র গণতন্ত্রী শিল্পপতিরাই নয়, সামন্তপ্রভুরা এখনো সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। কিন্তু শুধুমাত্র ওই কারণেই কি ব্রিটেন ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে?
ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছিন্নতার প্রকৃত কারণ রহস্যাবৃত। প্রকৃত অর্থে ব্রিটেনকে নৈরাজ্যিক করার যে গোপন ষড়যন্ত্র চলছে বহুদিন ধরে, এটা তার একটি লক্ষণ মাত্র। অনেক দিন ধরেই ইংল্যান্ডকে একটি নৈরাজ্যিক রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে ইহুদিরা। তারা অতি কৌশলে মার্কিন সা¤্রাজ্যকে ব্যবহার করে গ্রেট ব্রিটেনকে কেবলমাত্র ইংল্যান্ডে পরিণত করতে চায়।
আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলে গ্রেট ব্রিটেন কেবলমাত্র ইংল্যান্ড হয়ে যাবে। ওয়েলসল্যান্ড খুব একটা হিসাবকৃত হচ্ছে না এখন। পরে হয়তো একসময় তারাও বিচ্ছিন্ন হতে চেষ্টা করবে। সবই নির্ভর করছে স্কটল্যান্ডের গণভোটের ওপর। ইংল্যান্ড অবশ্যই অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়বে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক তার গতি প্রকৃতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। কেননা, তারা সাধ করে গ্রেট ব্রিটেনকে তাদেরকে শোষণ করতে দেবে না। বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটেনের মুনাফার লভ্যাংশের অংশীদারিত্ব হারাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু তারা তো অত বোকা নয়। তাই গ্রেট ব্রিটেনকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাশ কাটিয়ে চলবে তারা। ফলে ইউরোপে অনেকটা একঘরে হয়ে পড়বে তারা। তাদের পুঁজিপতিরা রানী ভিক্টোরিয়ার প্রাচীন সা¤্রাজ্যের পথে পথে ঘুরবে বিনিয়োগের জন্য। ইংল্যান্ড যদি অস্ত্র তৈরি করতে পারে, তাহলে তাদের পুঁজিপতিরা অস্ত্র বাণিজ্যে উৎসাহী হয়ে উঠবে। আর এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে ইহুদি আর্থ সা¤্রাজ্যবাদীরা।
মধ্যপ্রাচ্যে এবং এশিয়ায় তারা অস্ত্রবাজার তৈরি করতে চায়। কিন্তু ইংল্যান্ড অস্ত্র ব্যবসায়ে জড়িত হতে সংকোচ বোধ করে। অত্যাধুনিক নয়, এমন ধরনের অস্ত্র ব্যবসায়ে ঝুঁকি কম লাভ বেশি। যদি অর্থনৈতিক বিপর্যয় রুখতে চায় তবে অবশ্যই ইংল্যান্ডকে মধ্যপ্রাচ্যে এবং এশিয়া থেকেই মুনাফা সংগ্রহ করতে হবে। অস্ত্র ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।
লন্ডনের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না। তারা অনাবিল ব্যবসাপাতি করতে চায়। কিন্তু তাদের পুঁজির পাহাড় এমনি এমনি বসে থাকবে, সেটি আর্থসা¤্রাজ্যবাদীদের পছন্দ নয়। তারা পুঁজিকে মুনাফাখোর চরিত্রে আবর্তিত করতে চায়। আরো ভালোভাবে বললে বলতে হয়, ইহুদিরা তাদের পুঁজি হস্তগত করতে চায়। কেন চায়? না, তারা আসলে নৈরাজ্য চায়, পুঁজিই মুখ্য নয়। নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিচ্ছিন্নতা এবং পুঁজির সামাজিক বিচ্ছিন্নতা প্রয়োজন। অনেক হিসাব-কিতাব করেই তারা অগ্রসর হচ্ছে এবং প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের করে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে বিচ্ছিন্ন করে অস্থির ভূগোলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতে সচেষ্ট তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্কটল্যান্ডকে নিজেদের করে নিতে চায়। প্রত্যক্ষভাবে নয়, পরোক্ষভাবে। এখানে ইহুদি অর্থনীতি রাজত্ব করবে। খুব বড় একটা সামরিক নৌ-ঘাঁটি হবে এখানে। কয়েক দশক ধরে চেষ্টা করেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে কব্জা করতে পারছে না। বিশেষ করে রাশিয়ার ব্যাপারে যুদ্ধংদেহী করতে পারছে না। সম্প্রতি কয়েকটি ঘাত-প্রতিঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দেখা গেছে, ইউরোপের অনীহার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মানজনক পশ্চাদপসরণ করেছে। কিন্তু ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজরা তো যুদ্ধই চায়। অথচ, ইউরোপ যুদ্ধ চায় না। তারা দুটো বিশ্বযুদ্ধ হৃদয় দিয়ে, রক্ত দিয়ে অনুভব করেছে। নতুন কোনো যুদ্ধে কী অসহায় মানিবক বিপর্যয় ঘটতে পারে তা একমাত্র তারাই বুঝেছে। তাই তাদের প্রত্যাশা হলো, কোনোভাবেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তাদের অঞ্চলে হতে দেবে না।
তবে ধনতন্ত্রীরা একেবারেই যুদ্ধ চায় না এমন নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না। যদি এমন হয় যে সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে বুর্জোয়ারা যুদ্ধ বাঁধাবার পাঁয়তারা করছে, তখন দেখা যাবে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাবে। সাধারণ মানুষ আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটালে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হয়। আর্থসামাজিক কাঠামো অস্থির হয়। দেশের সার্বিক অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। ইহুদিবাদীরা দুটি ভিন্ন অবস্থার যে কোনোটির জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছে। যুদ্ধ হলে একরকম ‘মুনাফা’, না হলে অন্যরকম মুনাফা। ইউরোপজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি হলে তাদের আরো লাভ।
গ্রেট ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না। বিচ্ছিন্নতাও চায় না। তারা সুখে-শান্তিতে বেঁচে থাকতে চায়। তারা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি চায়। যেভাবে তারা চলছে তাতে তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি স্বাভাবিক গতিতে চলবার কথা। তাদের বর্তমান সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজিতে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে সাদ্দামের দেশে আক্রমণের দৃশ্যমান কুফল থেকে। সেখানে মার্কিন কমান্ডের অধীনে কাজ করে তাদের মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। অকারণে তাদের ভালো ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে। অথচ, লুটপাটের ভাগাভাগিতে তারা বঞ্চিত হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ সাদ্দামের সাথে অন্যায় যুদ্ধের কারণে সরকারকে ঘৃণা উপহার দিয়েছে। এখনো সেখানকার অনেকেই সাদ্দামের সাথে অন্যায় যুদ্ধের কারণে অনুতপ্ত। তবে সাধারণ মানুষের এ উপলব্ধি ইহুদিবাদীরা পছন্দ করে না। তারা গ্রেট ব্রিটেনকে অতীতের মতো যুদ্ধবাজ হিসেবেই দেখতে চায়। ইংল্যান্ডের লোকজন মহাসুখে জীবনযাপন করবে, এটাও তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাছাড়া ইংলিশদের যুদ্ধ না করার প্রবণতা তাদের মুনাফা কমিয়ে দিয়েছে।
সে কারণে স্কটল্যান্ডকেও স্বাধীন করতে চায়। সম্ভবত স্কটল্যান্ডে হয়তো ব্রেক্সিট জাতীয় একটা গণভোট আয়োজনের চেষ্টা চলছে। যার মাধ্যমে তারা গ্রেট ব্রিটেন থেকে ভদ্রভাবে বেরিয়ে যাবার রাস্তা খুঁজবে। এর পর সেখানে একটা মার্কিন ও ইহুদিদের নৌ-ঘাঁটি হবে। সম্ভাব্য আগামী বিশ্বযুদ্ধে ওই রকম একটা ঘাঁটির খুবই প্রয়োজন। সম্প্রতি তুরস্কে যে অভ্যুত্থান ঘটেছে, সেটাও এক প্রকার ইহুদি ষড়যন্ত্রের ফল। প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদেরকে আর্মেনিয়ায় গণহত্যার জন্য দায়ী করে সারা বিশ্বে সমালোচিত করেছে। তুরস্ক কড়া প্রতিবাদও করেছে। এটা ছিল তুরস্কের বর্তমান সরকারকে উসকানি দেয়া এবং ইসলামপন্থিদের বিতাড়নের জন্য সেনাঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাসীনদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র। উদ্দেশ্য দেশকে পুরোপুরি গোঁড়া মুসলিমপন্থি করা। কিন্তু আদতে তা সম্ভব হয়নি, হবেও না। তবে এখনও যে চেষ্টাটা অব্যাহত আছে, তা হলো তুরস্কে প্রত্যক্ষ কিংবা অপ্রত্যক্ষ গৃহযুদ্ধ বাঁধানো এবং দেশটাকে নৈরাজ্যিক বানানো এবং এর সাথে আরো কিছু ফায়দাফিকির করে ন্যাটো থেকে বের করে দেয়া।
প্রশ্ন হতে পারে, কেন তারা তুরস্ককে ন্যাটো থেকে বের করে দেবে? এ কারণে যে, ন্যাটো থেকে বের করে না দিলে তো ন্যাটোর মারণাস্ত্র তুরস্কের মুসলিমদের খুন করতে পারবে না। এখন তুরস্ক ন্যাটোর হুমকি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ যদি তুরস্ককে বিতাড়িত করতে পারে তবে তারাই আবার আক্রমণও করতে পারবে। ইহুদিরা তো চায়, তুরস্কের আর্থিক এবং সামরিক ক্ষমতা কমিয়ে দিতে। তারা তুরস্কের অর্ধেক জনসংখ্যাও কমাতে চায়। তুরস্ককে ভেঙে কয়েকটি ছোট ছোট রাষ্ট্র বানাতে চায়। যে কারণে তুরস্কে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে, ন্যাটোর অস্ত্রে ক্ষতবিক্ষত করে ভেঙে টুকরা টুকরা করতে চায়। ধারণা করা যায়, তাদের এই হীন পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায় ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।
ইহুদিরা তুরস্ককে লোভ দেখিয়েছে আরো বড় করে দেবে বলে। কিন্তু যুদ্ধের পরিণতিতে হবে আরো ছোট। এমনকি ইরাকের মতো একটি অস্থির রাষ্ট্রেও পরিণত করতে পারে। দুঃখজনক খবর হচ্ছে, তুরস্ককে ছিন্ন-বিছিন্ন করার জন্য সৌদি আরবও ইহুদিদের সাথে অংশগ্রহণ করবে। যে কারণে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ কিছুই করতে পারবে না। অকাতরে সাধারণ মুসলমান কিংবা সশস্ত্র মুসলমান মারা যাবে। সবাই ভাববে, দেশে দেশে যুদ্ধের কারণেই মরছে। কিন্তু এখনকার যুদ্ধ আর আগেকার দেশে দেশে যুদ্ধ এক কথা নয়। এখন মধ্যপ্রাচ্যের সব যুদ্ধই ষড়যন্ত্রমূলক। এমনকি তাদের কোনো কোনো দেশের গৃহযুদ্ধও ষড়যন্ত্রমূলক। মূলত গণতন্ত্রের চাষ এবং যুদ্ধ তাদের অস্থির ভূগোলের রাজনীতির অংশ। অনেকেই ভাবতে পারে যে, গ্রেট ব্রিটেন ভেঙেচূরে গেলে, তাদের অর্থনীতি অস্থির হয়ে গেলে অনেকেরই তো লাভ হবে। যেমন বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক। ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে। তবে তাদের অস্থিরতার সুযোগে বাংলাদেশের লাভবান হওয়া খুবই অনৈতিক। কিন্তু যারা মুনাফাখোর তারা নৈতিকতার বিষয়টি চিন্তা করবে না। কিন্তু জাতিকে চিন্তা করতে হবে। ইহুদি যুদ্ধবাজদের কোনো উদ্দেশ্য সফল হওয়া মানেই বাংলাদেশের জাতীয় ক্ষতি। কারণ তাদের টার্গেট তো বাংলাদেশও। তারা যতই সার্থক হবে ততই জোরেশোরে অগ্রসর হবে। হয়তো দেখা যাবে, ইহুদি পুঁজি বানের ¯্রােতের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মুনাফাখোরেরা পাগলের মতো উৎসাহ-আনন্দে লাফালাফি করবে। কিন্তু পরিণতিতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যাবে। তাই উচিত নয় গ্রেট ব্রিটেনের বিচ্ছিন্নতা কামনা করা। উচিত নয় তাদের ইহুদি সংশ্লিষ্ট পুঁজির প্রত্যাশা করা। লাভজনক হলেও নয়।
ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া নানা ধ্বংসাত্মক ঘটনা থেকে এটা ধারণা করা যায় যে, বাংলাদেশে তারা গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর বিভিন্ন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তথাকথিত জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা অহেতুক রক্ত ঝরাচ্ছে। ভাবছে, এতে বাংলাদেশ অসহায়ের মতো প্রাণ বাঁচাতে তাদের সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রার্থনা জানাবে। আশা করি, আমাদের নেতৃত্ব অবশ্যই এত বড় ভুল করবে না। উপায় যখন আছেই, তখন ভুল করা কেন? তবে ভয় আছে একটা। বাংলাদেশে সব সময়ই মীরজাফর থাকে। এই মীরজাফররা নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে কোনো ফাঁদে ফেলতে পারে। একবার ফাঁদে পা দিলে আর রক্ষা নেই। ইংরেজরা দু’শ বছর গোলামী করিয়েছে। আর সুযোগ পেলে ইহুদি-মার্কিন ষড়যন্ত্রকারীরা পাঁচশত বছর গোলামী করাবে।
সরকার মীরজাফরদের চেনে। কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। তাদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে আইনের আওতায় আনতে পারছে না। কেন পারে না? সমস্যা কোথায়? এখন যারা খুনোখুনিতে মত্ত, তারা কার কু-প্ররোচনায় কাজ করছে? বড়-ছোট অস্ত্র ব্যবসায়ী, আমলা, কালো টাকার মালিক, এনজিওওয়ালাদেরকে কে না চেনে? পুলিশ কেন চিনতে চায় না, তাদের মধ্যেও কি ইহুদিবাদী আছে? কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে না ভোগে শনাক্তকৃত সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এক্ষুনি। যত দেরি হবে বিপদ তত বড় হবে।
য় লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন