শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

সুন্দরবনে অসুন্দরের কালো ধোঁয়া

প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজু আহমেদ
ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুন্দরনের নিকটস্থ রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গঠিত হয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গণঅসন্তোষ। গণক্ষোভ এখন গণবিস্ফোরণের অপেক্ষায়। আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের ভাষা খুব স্পষ্ট। আমরা সুন্দরবনকে রক্ষা করতে চাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্রও চাই। তবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না। সুন্দরবনের আবেদন যে শুধু বাংলাদেশের সীমান্ত গ-িতে আবদ্ধ তা নয়, বরং এটার গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ঘোষণানুযায়ী সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর অন্যতম একটি। বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এবং জগৎ বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (বাঘ) নিরাপদ আশ্রয়স্থলও এটি। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি সাধন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে আজ দেশের সর্বমহলে সমালোচনা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ঘোর সমালোচনায় মুখর পাড়ার চায়ের দোকান থেকে বিশেষজ্ঞের আলোচনার টেবিল পর্যন্ত।
বেড়াতে যাওয়া আর উদ্বাস্তু হওয়া নিশ্চয়ই এক কথা নয়। বিগত বাঘশুমারীর জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আশঙ্কাজনকভাবে বাঘের অনুপস্থিতিতে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী রসিক মন্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বাঘগুলো ভারতে বেড়াতে গেছে এবং যথাসময়ে ফিরে আসবে! মন্ত্রীর আশানুযায়ী বাঘগুলো ফিরে এসেছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য জাতি না জানতে পারলেও সুন্দরবনে যে কয়টি বাঘ অবশিষ্ট আছে তা-ও যে বেড়াতে যাওয়ার বদলে উদ্বাস্তু হতে যাচ্ছে তা পরিবেশবিদদের শঙ্কায় প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। শুধু কি বাঘ? সুন্দরবনের সামগ্রিক বাস্তুব্যবস্থা বিশেষত হরিণ, ডলফিন ও গরান বনের অস্তিত্ব মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। সুন্দরবনের মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং সরকার নির্ধারিত সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইনভায়রনমেন্টাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে নির্মাণাধীন রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে সুন্দরবনের সামগ্রিক পরিবেশ যে চরম হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। পরিবেশবাদীদের মতে, সুন্দরবনের অতি নিকটের এমন স্পর্শকাতর স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত মোটেও পরিবেশবান্ধব নয়।
সুন্দরবনে জালের মতো বিস্তৃত রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাঁদাচর ও ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন বিশিষ্ট দ্বীপমালা। সুন্দরবনের মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি ও বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বনভূমিতে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ডোরাকাটা বাঘ ছাড়াও চিত্রা হরিণ, নানা প্রকারের পাখি, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিচিত্র জীববৈচিত্র্যের আধার তথা বাংলাদেশের সুন্দরবন বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তণ্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮ প্রজাতির উভচরের আবাস্থল। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ক্যামেরা পদ্ধতিতে চালানো জরিপের ফলাফলে জানা গেছে, সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ রয়েছে। যদিও ২০০৪ সালের হিসেবে সুন্দরবনে প্রায় ৫০০ বাঘ ছিল। সুন্দরবনের আকর্ষণীয় চিত্রা হরিণের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অর্থনীতিতে যেমন, ঠিক তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। এখান থেকে নিয়মিত ব্যাপকভাবে আহরিত হয় ঘর ছাওয়ার গোলপাতা, নল-খাগড়া, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া ও শামুক-জিনুক। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোসহ নানা দেশ ও সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন তথা সুন্দরবনের গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝলেও, আমাদের সম্পদের মর্যাদা আমরা বুঝিনি। তাই সুন্দরবনের মতো সুন্দর স্থানকে অসুন্দরের কালো থাবায় ঢেকে রাখতে চাচ্ছি।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে সে দেশের সাথে যতগুলো সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে সুন্দরবনের নিকটস্থ রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত একটি। ৬৬০ মেগাওয়াট করে ২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এ প্রকল্পের লক্ষ্য। দেশের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি ও চাহিদা মেটাতে এ প্রকল্প পরমভাবে আকাক্সিক্ষত। কিন্তু সে প্রকল্পের বাস্তবায়ন এমন একটি স্পর্শকাতর স্থানে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি সাময়িকভাবে আলোর মুখ দেখবে হয়তো কিন্তু আঁধার নেমে আসবে প্রকৃতির দানে পাওয়া এ দেশের মানুষের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের ওপর। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে রক্ষার জন্য যে বনটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে সেই বনের অতি সন্নিকটে এমন প্রকল্প নির্মাণ করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের শামিল। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এদেশের মানুষ যে কতটা অসচেতন তার নজির মেলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত গৃহীত সিদ্ধান্তের দিকে লক্ষ করলেই। ভারতের যে সংস্থা তথা ন্যাশনাল থারমান পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি)-এর সাথে পিডিবির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তারা প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতের ছত্রিশগড়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গ্রিন প্যানেল (ইআইএ) প্রকল্পটিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে অবহিত করায় ভারত সরকার এর অনুমোদন দেয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি হওয়ার পরেই ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর কোনরূপ পরিবেশগত অনুমোদন ছাড়াই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। যা নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশের পরিবেশবিদরা তুমুল প্রতিবাদ করেন এবং হাইকোর্টে রিট পর্যন্ত হয়। তাছাড়া একই প্রকল্পের জন্য (১৩২০ মেগাওয়াটা বিদ্যুৎ উৎপাদন) যেখানে ছত্রিশগড়ে ৭৯২ একর এক ফসলি জমি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয় সেখানে রামপালে ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎসচাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার ৯৫ শতাংশ জমি তিন ফসলি কৃষি, যেখানে বছরে ১২৮৫ টন ধান, ৫৯৬ দশমিক ৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এ প্রকল্পের কারণে ৮ হাজার পরিবার উচ্ছেদ হবে, যার মধ্যে উদ্বাস্তু ও কর্মহীন হবে ৭ হাজার ৫০০ পরিবার।
রামপালে তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুন্দরবন এবং এখানে জীববৈচিত্র্য। কয়লা ও ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনের জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ খালে বাড়তি নৌযান চলাচল করবে, ক্ষতিকর রাসয়নিক, তেলসহ কঠিন ও তরল বর্জ্য নিঃসরণ, শব্দ দূষণ, আলো দূষণ নিত্যাকার ঘটনা হবে। যারা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরনে কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন না তাদের বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পরিবেশ দেখে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত বর্জ্য নিঃসরণের কারণে বুড়িগঙ্গা বর্জ্যরে নদীতে পরিণত হয়েছে। রামপালের বর্জ্য নিঃসরণ সুন্দরবনের খালগুলোকেও মারাত্মকভাবে দূষিত করবে। সুন্দরবনের খাল কেন্দ্রিক যে মৎস উৎপাদন হয় তা বন্ধ হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ মৎস শিকারভিত্তিক জীবিকা আহরণের পথ হারাবে। সুন্দরবনের নিকটে তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিঃসরিত রাসয়নিক দ্রব্য সুন্দরবনের পরিবেশকে অবশ্যম্ভাবীভাবে দূষিত করবে। ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এক বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে। আমরা জানি, অ্যাভোগ্রেডের প্রকল্প অনুযায়ী, এক টন কয়লা পুড়লে দুই দশমিক ৮৬ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। সেই হিসেবে এই প্রকল্প ৮০ শতাংশ লোড ফ্যাক্টরে উৎপাদন করলেও বছরে এক কোটি আট লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপাদিত হবে। যদিও প্রকল্প সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্বন ডাই-অক্সাইউ কম উৎপাদনের দাবি করা হচ্ছে, তবুও উদ্যোক্তাদের হিসেবে মতেই তা ৭৯ লাখ টন। এ থেকে যে কঠিন বর্জ্য নির্গত হবে তা বাতাসের চেয়ে ভারী হওয়ায় সুন্দরবনের দিকে ধাবিত হবে। এ প্রকল্পের চিমনি যতই উঁচু করা হোক বাতাসের চেয়ে ভারী রাসয়নিক বর্জ্য সুন্দরবনের ওপরেই কালো স্তর সৃষ্টি করবে। এছাড়াও ইআইএ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদ্যুৎকল্পে বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘোরনো ও শীতলীকরণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পশুর নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করায় নদীর নিম্নপ্রবাহে সুন্দরবন এলাকায় প্রকটভাবে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করবে, নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যাবে, যা নদী উপকূলবর্তী এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি করবে, জোয়ারÑভাটার স্বাভাবিক নিয়ম বদলে যাবে এবং মাছের বংশবৃদ্ধি মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। সর্বোপরি সুন্দরবনের চির-সবুজ উদ্ভিদরাজিতে নানামুখী বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বন্যপ্রাণি বাসযোগ্যতা হারানোসহ বহুবিধ শঙ্কার উন্মেষ ঘটবে।
বিদ্যুতে স্বংয়সম্পূর্ণতা অর্জন করতে না পারলে রাষ্ট্রের শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়। আধুনিক কৃষিভিত্তিক চাষ পদ্ধিতেও বৈদ্যুতিক শক্তি নির্ভর যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ কে সফল ও স্বার্থক করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগের বিকল্প নাই। দেশের ৪৫ ভাগ জনপদ এখনো বিদ্যুৎ বিছিন্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যা মারাত্মক প্রতিবন্ধক। কাজেই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। সরকার সে লক্ষ্যে কাজও করছে। কিন্তু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সুন্দরবনের স্বার্থে রামপালের মতো একটি স্পর্শকাতর স্থানকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা আদৌ যে যুক্তিসঙ্গত হয়নি তা দেশের সচেতন মহল এবং পরিবেশবিদদের আলাপে প্রত্যহ প্রকাশ পাচ্ছে। রামপালের ১৮৩৪ একর জমি সুন্দরবনের স্বাার্থেই নিরাপদ রাখা উচিত এবং অন্যস্থানে এ প্রকল্প সরিয়ে নিলে ধ্বংসের কবল থেকে সুন্দরবন রক্ষা পাবে। বিদ্যুৎ উপৎপাদনাগার রাষ্ট্রের প্রয়োজন বটে কিন্তু সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। বৈদ্যুতিক আলোর বদলে কুপির আলোতে কাটানোও ততোটা আপত্তিকর নয়, যতোটা আপত্তিকর সুন্দরবনের সন্নিকটে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত। সুন্দরবনের স্বার্থে, পরিবেশের স্বার্থে, প্রাণ-বৈচিত্র্যের কথা বিবেচনা করে সকল ক্ষতিকর পদক্ষেপ থেকে সুন্দরবনকে নিরাপদ রাখা উচিত। দেশের অন্যস্থানে হাজার হাজার একর জুড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ পরিবেশের ওপর ততোটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে না যতটা ফেলতে যাচ্ছে রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত।
লেখক : কলামিস্ট
raju69alive@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন