নিখোঁজের ১০দিন পর স্কুলছাত্র মইনুর রহমানের (১৬) গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম মোঃ রেজোয়ানুজ্জামানের কাছে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
নিহত মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরখী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা ভোকেশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দানকারি হুমায়ুন কবীর (৩৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে।
নিহত স্কুল ছাত্রের পিতা সুরত আলী জানান, তার ছেলে মঈনুর রহমান মাঝে মাঝে ইজিবাইক চালাতো। গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর তার সঙ্গে মোবাইলে শেষ কথা হয়। সারা রাত খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না মেলায় ঈদের দিন পহেলা আগষ্ট তার ভাই আফছার আলী সদর থানায় ২০ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। সে অনুযায়ি পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার সকালে সদরের আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীরকে তার শ্বশুর শ্রীরামপুর গ্রামের গফুর দফাদারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় মঈনুরের ব্যবহৃত ইজিবাইক। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শহরতলীর অদূরে বাঁকালে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ মঈনুরের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, হুমায়ুন কবীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং তার দেখিয়ে দেওয়া মতে মইনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক ও পঁচাগলা লাশ উদ্ধার করা হয়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মঈনুরের লাশ মঙ্গলবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুরত আলী বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবীরসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবীর জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম মোঃ রেজোয়ানুজ্জামানের কাছে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন