১৯৯২ সালে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন হয়নি, গত তিন দশকে খাননি কোনও ওষুধ। কিন্তু সম্পূর্র্ণ আরোগ্য লাভ করেছেন তিনি। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে নেচার পত্রিকায় সা¤প্রতিক প্রকাশিত এক গবেষণায়। ক্যালিফোর্নিয়া নিবাসী প্রৌঢ়া লরিন উইলিনবার্গ এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত নাম। কারণ তার শরীরই হাল না ছেড়ে গত তিনদশক ধরে তিলে তিলে খতম করেছে এই মারণ ভাইরাসকে। পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়া নিবাসী আরও দুই ব্যক্তির সন্ধান দিচ্ছে এ গবেষণা। তারা টিমোথি ব্রাউন এবং অ্যাডাম কাস্তিল্লেজো। তারাও এইডস থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল, তার ফলেই এ রোগমুক্তি। গবেষকদের দল আরও ৬৩ জনকে চিহ্নিত করেছেন যাঁরা এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন যাতে তা না ছড়াতে পারে। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির পরে নতুন করে সংক্রমিত হননি এমন ব্যক্তিরও সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। ফলে এই ঘটনাক্রমে এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এইডস বিশেষজ্ঞ স্টিভ ডিকসের কথায়, এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে এইডসের বিষয়ে বহু মিথ চালু রয়েছে। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপিতেও একজন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। পাশাপাশি এও বোঝা যাচ্ছে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় থাকলে এইডস তাড়ানো সম্ভব।
কিন্তু কীভাবে সারলেন লারিন? গবেষকরা মনে করছেন, লারিন সেই বিরলতম একজন মানুষ যার শরীর রকম ওষুধ ছাড়াই এইচআইভি ভাইরাসকে আটকাতে পারে। জিন বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, নতুন কোনও কোষে সমক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে ভাইরাসটিকে লক করে রেখেছে লারিনের শরীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন