ঘুষ নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহমুদুল হাসান শুভকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনানী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মোমেনা আক্তার বিথী এক নারী মাহমুদুল হাসান শুভ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেন। শুভর গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মুক্তাগাছায়। রাজধানীর একটি ফাইভ স্টার হোটেলে তিনি চাকরি করতেন।
মোমেনা আক্তার বিথী বলেন, শুভ তার গ্রামের বাড়িতে খামার করবে বলে আমাদের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা নেয়। আমি আরেক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা লোন নিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে মোট ৬০ লাখ টাকা ক্যাশ দেই। কিন্তু সেই টাকা সে ফেরত দেয়নি। আমাকে ঘুরাতে থাকে। পরবর্তীতে সে তার ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর আমি তাকে খুঁজে বের করি। সে আমাকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি চেক দেয়।
কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে দেখি তার ব্যাংকে কোনও টাকা নাই। ২০১৯ সালের ২ জুলাই চেক ডিজঅনার হয়। এরপর আমি তাকে ৭ জুলাই উকিল নোটিশ দেই। তার জবাবের পর ২০ আগস্ট আমি ঢাকার আদালতে এনআই অ্যাক্টে মামলা করি। সে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে জামিন নিয়ে পালিয়ে যায়। আদালত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ এবং ৬০ লাখ টাকা অর্থদÐ দেয়। গতকাল রাতে বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে সে জামিন পেয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন