দীর্ঘদিন ধরেই বিধবা ভাবি জুথি বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন দেবর সাকিবুল হাসান সোহাগ (২৮)। একসময় ভাবি দেবরকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। আর দেবর বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নিজ কক্ষে ডেকে দেবরের যৌনাঙ্গে আঘাত করে হত্যা করে সে। তবে, পুলিশের দাবি, জুথি বেগম তার দেবরকে হত্যা করেছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত সাকিবুল হাসান সোহাগ নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাঁকা ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রæয়ারি) রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ভাবি জুথি বেগম একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী।
স্বামীর মৃত্যুর পর দেবরের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন ভাবি জুথি। কিন্তু স্ত্রী-সন্তান থাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হননি সাকিবুল। তখন থেকেই ভাবির চোখে স্বার্থপর হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। তারপর বিভিন্ন সময় সাকিবুলকে হত্যার হুমকি দেন ভাবি জুথি। এনিয়ে একাধিকবার সালিশের মাধ্যমে আপোশ-মীমাংসা করা হয়। ভাবির শয়নকক্ষে দেবরের লাশ উদ্ধারের পর এমনটিই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
নিহতের মা শিউলি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ফোন করে বলেছে আমি বাড়ি আসছি। তার জন্য খাবার নিয়ে বসে ছিলাম। দেরি দেখে খাবার ঢেকে বিছানায় যাচ্ছিলাম। এমন সময় জুথির চিল্লানোর আওয়াজ শুনতে পেয়ে লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে দরজার সামনে আমার ছেলেকে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। জুথি তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।’
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন