মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছাত্রফ্রন্ট নেতার উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ

বাকৃবি প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:২৯ পিএম

ওয়াইফাই রাউটারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালায়ের (বাকৃবি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) বাকৃবি শাখার নের্তৃবৃন্দের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার শিকার হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) বাকৃবি শাখার সহ-সভাপতি পৃথ্বীরাজ দাশ এবং হল সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভন। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক আশরাফুল হক হলে এ ঘটনাটি ঘটে। এ হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) বাকৃবি শাখার নের্তৃবৃন্দ।

ভুক্তভোগী পৃথ্বীরাজ দাশ তার লিখিত অভিযোগে বলেন, ওই দিন রাতে হলের ডি ব্লকে সাধারণ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওয়াইফাই রাউটার আশরাফুল হক হলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তামিম মাহমুদ আকাশের নির্দেশে ২য় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা দখল করে নিজ রুমে লাগিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে ঐ ব্লকের কিছু আবাসিক শিক্ষার্থী এবং আমি প্রতিবাদ করতে গেলে একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে হামলার শিকার হই। এসময় ছাত্রলীগের হল শাখার নেতা আকাশের নেতৃত্বে ইরফান আকবর, মামুনুর রশিদ ফাহিমসহ ২৫-৩০ জন দফায় দফায় আমার উপর হামলা করে। এসময় আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট আশরাফুল হক হলের সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভনও আহত হয়।

তিনি আরও জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্টকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আকাশ, ইরফান ও ফাহিমসহ দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হল গুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাই।'

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তামিম মাহমুদ আকাশ বলেন, ওয়াইফাই রাউটার নিয়ে হলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমি ও হলের সিনিয়র ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করি। তবে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফাহিম ও ইরফান এ বিষয়ে বলেন, হলের জুনিয়রদের সাথে পৃথ্বীরাজ খারাপ ব্যবহার করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে আনিত হামলার অভিযোগটি সত্য নয়। সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।


এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, হল প্রভোস্ট দুই পক্ষের সাথে বসে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিবেন।

ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন বলেন, দুইপক্ষের সাথে বসে বিষয়টি পরে জানানো হবে। পরে আবার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হলের ডেপুটি রেস্ট্রিারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে বলেন। পরবর্তীতে কথা শেষ না করেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফোন কেটে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন