শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

থামছে না ফেরত আসা

ছয় মাসে ফিরেছে ১৮০৫৭৩ জন

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কর্মস্থলে যেতে পারবে না এক-তৃতীয়াংশ

করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক চরম মন্দায় অনেক প্রবাসী কর্মীর চাকরি এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরত আসা অব্যাহত রয়েছে। কেউ ফিরছেন কাজ না থাকায় আবার কেউ ফিরছেন অবৈধ হয়ে কারাভোগ করে। বিদেশ থেকে প্রবাসী কর্মীরা যেন ফেরত না আসে সে জন্য তিনটি মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে।

রাজকীয় সউদী সরকারের কঠিন শর্তারোপের কারণে এমনিতেই আটকে পড়া এক তৃতীয়াংশ প্রবাসীর স্ব স্ব কর্মস্থলে ফেরত যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বায়রা এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। তার পরেও বিদেশ ফেরত কর্মীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক জনশক্তি রফতানিকারক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৩ জন প্রবাসী কর্মী। এদের মধ্যে অবৈধ হয়ে কারাভোগসহ নানা কারণে আউটপাস নিয়ে ফিরেছে ৩০ হাজার ৫৪৩ জন এবং বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ফিরছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৩০ জন। এসব প্রত্যাগতদের মধ্যে মহিলা গৃহকর্মীর সংখ্যা রয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৩ জন।

এছাড়া গত ৪ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আরো প্রায় দশ হাজার প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরছেন। সবচেয়ে বেশি ফিরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটি থেকে চাকরি হারিয়ে ফিরেছে ৪৬ হাজার ৪৩ জন। সউদী আরব থেকে ফিরেছে ৪০ হাজার ৪৯৪ জন। কাতার থেকে ফিরেছে ১৫ হাজার ৭৮৭ জন। ওমান থেকে ফিরেছে ১০ হাজার ৯০৩ জন। কুয়েত থেকে ফিরেছে ১০ হাজার ৮৫ জন এবং মালদ্বীপ থেকে ফিরেছে ১০ হাজার ৫৮৩ জন। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কল্যাণ ডেস্ক সূত্র ১২টি ফ্লাইটে সউদীসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৫৬৭ জন প্রবাসী কর্মী চাকরি হারিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছেন। বুধবার বিকেলে কুয়েত ও সউদী থেকে আরো দু’টি ফ্লাইট যোগে বেশ কিছু কর্মী চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরেছে। বিমান বন্দরে প্রত্যাগত একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। প্রবাসে কাজ না থাকায় আরো অনেকেই দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে।

গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ করে কীভাবে আরও বৈদেশিক আয় বাড়ানো যায়, বিদেশ থেকে আমাদের কর্মীরা যেন ফেরত না আসে সে বিষয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার সউদী আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি কঠোর পরিশ্রম করে দেশে অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখছেন। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধপথে রেমিট্যান্স আসছে। রফতানিও বেড়েছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণসহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুলাইয়ে। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এর আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এদিকে চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৮.৫৭ শতাংশ।

লকডাউন অনেকটা শিথিল হওয়ায় গত মাসের শেষের দিকে আটকে পড়া সউদী প্রবাসী কর্মীরা দেশটির কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করছে। আটকে পড়া অধিকাংশ কর্মীর ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আটকে পড়া কর্মীদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধির জন্য সউদী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। সউদী সরকার এসব প্রবাসী কর্মীদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। এতে আটকে পড়া কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ফ্লাইট সংখ্যা স্বল্প হওয়ায় সউদী গমনেচ্ছু কর্মীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই ঢাকাস্থ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সামনে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী টিকিটের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারও বিপুল সংখ্যক সউদীগামী কর্মী সাউদিয়ার অফিসের সামনে ভিড় জমায়।

জনশক্তি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে, অভিবাসী কর্মীদের প্রায় ৮০ ভাগই আছেন মধ্যপ্রাচ্যের আট দেশে। প্রবাসী আয়ের অর্ধেকের বেশি তাঁরাই পাঠান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মী বেশি ফিরছে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত ও ওমান থেকে। এই পাঁচ দেশ বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি প্রবাসী আয়ের দেশের মধ্যে পড়ে। বাহরাইন, লেবানন আর জর্ডান থেকেও অনেক কর্মীকে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জর্ডানে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মী তৈরি পোশাক খাতে কাজ করেন। রফতানি আদেশ বাতিল হওয়ায় কারখানায় কাজ বন্ধ, দেশটিতে বেতন পাচ্ছেন না অনেকে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, করোনাকালে মধ্যপ্রাচ্যের তেলনির্ভর অর্থনীতি গত ৪০ বছরে সবচেয়ে বড় ধাক্কার মুখে পড়ছে। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ইতিপূর্বে বলেছিল, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আরব দেশগুলোতে ৫০ লাখ লোক চাকরি হারাতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দু’জন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ কর্মীই অদক্ষ। তাঁরা নির্মাণ খাতেই কাজ করেন বেশি। অর্থনৈতিক চাপে ব্যয় সংকোচনের কারণে দেশগুলোতে এই খাতের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য খাতের কর্মীরাও কাজ হারিয়েছেন। আবার নানা কারণে অবৈধ হয়ে পড়া কর্মীরাও এখন বেকার। হাজার হাজার কর্মী দেশগুলোর সরকারি খরচে বাংলাদেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন। দুই দিনে ১০টি উড়োজাহাজে কর্মী পাঠাতে চেয়েছিল বাহরাইন। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পর ধাপে ধাপে পাঠাতে রাজি হয়েছে।

বিএমইটি’র সূত্র মতে, গত দুই বছর অভিবাসন কমছে। ২০১৭ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ১০ লাখ কর্মী। কমতে কমতে গত বছর সংখ্যাটা সাত লাখে ঠেকেছে। এ বছর ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিমান চলাচল ছিল। দেড় লাখ কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন। কিন্তু বিশ্বজোড়া লকডাউন শেষ হলেও কর্মী নেয়ার হার অনেক কমতে পারে। বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম বলেন, চলমান সঙ্কট সমাধানে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে কাজ করছে। তারপরও যাঁরা দেশে ফিরে আসছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশিক্ষণ ও কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা ছাঁটাই করার আগে কর্মীদের অন্তত ছয় মাস সময় দিতে অনুরোধ করেছেন। আরব দেশগুলো সাড়া দিচ্ছে না। কর্মীদের জায়গায় রেখে ব্যবসা বা অন্য কোনো কাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে কোনো দেশ রাজি হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কয়েক হাজার লোক ফিরলে আলাদা কথা, কিন্তু কয়েক লাখ ফিরলে বিরাট সমস্যা হবে। তাই সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

করোনার কারণে দেশে আটকে পড়া এক-তৃতীয়াংশের বেশি সউদী ফেরত কর্মীকে আবার পাঠানো সম্ভব হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)। সউদী সরকারের নির্দেশনার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রক্রিয়াকে সহজীকরণের জন্য জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বায়রা নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বায়রার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়। কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এবং মো. সাদেক খান বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বায়রা উল্লেখ করে ঢাকায় সউদী দূতাবাসের এ সার্কুলার অনুযায়ী একজন কর্মীকে সব কার্যক্রম পুনরায় করে পাঠানো ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০-৪০ ভাগ কর্মীর ক্ষেত্রে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করা প্রায় অসম্ভব। বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তা কাটিয়ে উঠে শ্রমবাজারকে পুনরায় চালু করা বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি প্লাটফর্মে কাজ করা জরুরি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কো-অর্ডিনেশন সেল গঠনের প্রস্তাব করে বায়রার পক্ষে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বায়রার প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করে এ সেল গঠন করা যেতে পারে। বায়রার সুপারিশে আরও বলা হয়, যে সব কর্মী ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ফেরার পর করোনার কারণে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি বা বর্তমানে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়নি এবং যারা যাওয়ার চেষ্টা করছেন জরুরি ভিত্তিতে তাদের একটি ডাটাবেজ প্রণয়ন করা প্রয়োজন। রিক্রুটিং এজেন্সির হাতে প্রক্রিয়াধীন প্রায় ৮৬ হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে তাদের করোনার কারণে প্রেরণ সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
সজল মোল্লা ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৬ এএম says : 0
প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসা বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
জোহেব শাহরিয়ার ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
প্রবাসী মন্ত্রণালয় কি করছে।
Total Reply(0)
নীল আকাশ ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
যে কোনো মূল্যে ফেরত আসা বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
জুয়েল মিয়া ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
দেশে অনেক মানুষ বেকার হয়ে গেছে। তারওপর প্রবাসীরা ফেরত আসলে বিপদ হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন