আড়াইহাজার উপজেলা ভূমি অফিস কম্পাউন্ডে ঢুকতেই চোখে পড়ে আকর্ষণীয় একটি বিশ্রামাগার । এটা সম্মানিত সেবা প্রার্থীগণের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ও গনশুনানী কেন্দ্র। সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ উজ্জল হোসেনের একান্ত চেষ্টায় পাল্টে গেছে ভূমি অফিসের দৃশ্যপাট।
সরেজমিনে বুধবার দেখা গেছে, বিশ্রামাগারে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা অপেক্ষা করছেন। এসিল্যান্ড যখন একজনের সমস্যার সমাধান করছেন অন্যরা তখন সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন। গাছের ছায়ার নিচে ঘরটিতে রয়েছে দখিনা হাওয়া আসার সুযোগ। কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, নেই ছুটোছুটি। সেখানে সেবাগ্রহীতারা অপেক্ষা করছেন। নিজের কক্ষে বসে আছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি মো: উজ্জল হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল হোসেন জানান, তার সবচেয়ে সব সাফলতা হচ্ছে যোগদানের পরপরই দীর্ঘদিনের জট লেগে থাকা মিসকেইস গুলো সমাধাণ করা।
সামনে রয়েছে একটি টিভি মনিটর। সেখানে অফিসের বিভিন্ন রুমের সিসি ক্যামেরার চিত্র তিনি দেখতে পান। আর তার সামনে দুই সারিতে বসে আছেন সেবাপ্রার্থীরা। এক এক করে নিজ নিজ জমিজমার সমস্যার কথা বলছেন তারা। আড়াইহাজার ভূমি অফিসে গিয়ে অন্যরকম এসব চিত্র দেখা গেল। জমিজমার সমস্যা নিয়ে যারা এই কার্যালয়ে আসেন, তারা যাতে দালালদের হাতে না পড়েন, সে জন্য এই সেবা ব্যবস্থা চালু করেছেন এসিল্যান্ড উজ্জল হোসেন। এ কাজের প্রেরণা তিনি পেয়েছেন একই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: সোহাগ হোসেনের কাজ থেকে ।
দালালের দৌরাত্ম্য থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে রয়েছে অভিযোগ বক্স। সেখানে লেখা ভূমি অফিসের সেবার বিষয়ে আপনার যে কোনো মতামত/পরামর্শ/অভিযোগ দাখিল করুন।
তিনি গত ১৫/৫/১০ সালে যোগদানের পর থেকে একের পর এক উদ্ভাবনী উদ্যোগে উপজেলা ভূমি অফিসের চেহারা বদলে দিয়েছেন তরুণ সরকারি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন। তিনি এসে দেখেন তার কার্যালয়ে দালালদের দৌড়ঝাঁপ। কাজের জন্য কেউ এলেই তাদের খপ্পরে পড়তেন। তাই দালালদের হাত থেকে সেবাগ্রহীতাদের রক্ষায় মাঠে নামেন তিনি। অফিসের চারপাশের দেয়ালে নামজারির সাইনবোর্ড ও ব্যানার টানানো। তাতে জমির নামজারি ও খতিয়ান তুলতে কত টাকা লাগবে এবং কোন বিষয়ে কার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে, সব তথ্য লেখা আছে। আগত ব্যক্তিদের কাউকেই কার্যালয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতে দেখা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন