আশুলিয়া থেকে রাউফুর রহমান পরাগ
আশুলিয়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজস্ব সার্কেলে কর্মরত ক্রেডিট চেকিং কাম-সায়ারাত মাহমুদা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজস্ব মোঃ মাজহারুল ইসলামকে একাধিকবার জানালে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মো বিল্লাল হোসেন, পিতা হাজী নুর মোহাম্মদ, সাং ডগরতলী এর নিকট হতে মিস কেইস নং ৩১৮/১৪ এর আদেশ লিখে চার মাস নিজের নিকট রেখে ১৪০০০টাকা ঘুষ নিয়ে আদেশের কপি দেন এবং পরবর্তী পর্চা ও ডিসিআর কপি প্রদানের সময় জোর করে অতিরিক্ত আরো ২০০০ টাকা নেয়। অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে মোঃ এরশাদ আলী পিতা কছিম উদ্দিনের নামীয় নামজারী কেইস নং ১৪৭৮/১৫-১৬ মিসকেইস সহকারী হিসাবে নোটিশ প্রদান করে প্রতিপক্ষের কাছে ৫,০০,০০০/- পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নামজারী বাতিল করে ক্ষতি করেছে। এলাকার সকল ভুমি মালিকদের সাথে খারাপ আচারণ করে এবং টাকা না দিলে ক্ষতি করার ভয় দেখায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাহমুদা সিদ্দিকা ক্রেডিট চেকিং কাম-সায়ারাত হিসাবে আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজস্ব সার্কেলে যোগদানের পরে জনগণের হয়রানী বেড়েছে অসহনীয়ভাবে। মাসের পর মাস ধরে নামজারী নথির পিছনে ঘুরতে ঘুরতে একে বিপর্যস্ত মানুষগুলো শেষে এসে পরে মাহমুদার হাতে। এবার শুরু হয় ডিসিআর এর হয়রানী। সময়মত ডিসিআর পাওয়া তো দুরের কথা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ জুটে যায় সেবা নিতে আসা মানুষগুলোর। চাহিদামত টাকা দিতে না পারলেই হয়রানী শুরু হয় আর এর শেষ হয় টাকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে। এই হয়রানী থেকে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টিকামনা করছেন এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন