যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি থেকে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি বাতিলের দাবি তুলেছেন দেশটির প্রবীণ রাজনীতিক ভারমন্টের সিটের বার্নি স্যান্ডার্স। সোমবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এমন আহবান জানান তিনি। টুইটে স্যান্ডার্স বলেন, ‘পপুলার ভোটে ৪০ লাখেরও বেশি ভোটে জিতবেন জো বাইডেন। গত আটটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে সাতটিতেই জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা। এক ব্যক্তি, এক ভোট। গণতন্ত্রই শাসন কাজ পরিচালনা করবে। হ্যাঁ! আমাদের উচিত ইলেক্টোরাল কলেজ বাতিল করা।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে মোট ৫৩৮ জন ‘ইলেক্টর’ বা নির্বাচকের ভোটের ওপর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যেসব ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট। আর ইলেক্টরদের ভোটকে বলা হয় ইলেক্টোরাল ভোট। একটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ‘পপুলার ভোট’ যিনি পাবেন, সে রাজ্যের সবকটি ইলেক্টোরাল ভোট তিনিই পাবেন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি। একটি অঙ্গরাজ্যে মোট কতজন ইলেক্টর থাকবেন সেটি নির্ধারণ করা হয় ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে। উদাহরণস্বরূপ মন্টানার জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় সেখানে ইলেক্টর বা নির্বাচক মাত্র তিনজন। অন্যদিকে জনবহুল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচকের সংখ্যা ৫৫। এ পদ্ধতিতে মোট ভোটের হিসাবে এগিয়ে থাকলেও কোনও প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট অর্জনে ব্যর্থ হলে তার আর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। ২০১৬ সালের নির্বাচনে পপুলার ভোটে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সেবার ট্রাম্পের চেয়ে ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৪ ভোট বেশি পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। তবে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির কারণে ওই নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। টুইটার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন