শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাঙামাটিতে পাহাড় কেটে উন্নয়নের কাজ

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে : | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের না জানিয়ে আকস্মিকভাবে ড্রোজার লাগিয়ে মাটি কাটার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পরিবারকে বাস্তুহারা করতে বসেছে রাঙামাটির সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে কলাবাগান এলাকা পরিদর্শনে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সঠিক প্ল্যান উপস্থাপন না করে কলাবাগান এলাকায় চলমান সড়ক উন্নয়ন কাজ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত স্থগিত রাখতে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছেন কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শতরূপা তালুকদার।
এ সময় তিনি বলেন, কোথায় রাস্তা! কোথায় এসে মাটি কাটা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। তাই রাস্তা সংস্কারের সঠিক প্ল্যান উপস্থাপন করে পরবর্তীতে সড়ক উন্নয়নের কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন কাজ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাকে এমন নির্দেশনা প্রদান করেন।
জানা যায়, বেতবুনিয়া থেকে রাঙামাটি এবং ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়ক মিলে সর্বমোট প্রায় ২৭০ কোটি টাকার পরিকল্পনায় এই সড়ক উন্নয়নের কাজ করছে রাঙামাটির সড়ক বিভাগ। ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল জব্বার বলেন, অনেক বছর ধরে এই জায়গায় বসবাস করছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা বড় করতে আমাদের নিচে নামিয়ে দিয়েছে। এখন রাস্তা সংস্কারের নামে আমাদের ফলজ বাগান, কেটে ফেলেছে। আমরা এখন রাস্তা সংস্কারের নামে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্থ শিরিনা বেগম বলেন, তারা রাতের বেলায় মাটি কাটে। কোনো ক্ষতি হবে না হবে না বলে আমাদের সকল জায়গা কেটে ফেলেছে। রাস্তা রাস্তা সংস্কারের নামে খালের জায়গা বন্ধ করে দিয়ে মাঠ বানিয়ে ফেলেছে। কিছু বলতে গেলে তারা মামলার হুমকি দেখাচ্ছে। স্থানীয় আ.লীগ নেতা মো. জাফর আহমেদ বলেন, আমরা কখনোই উন্নয়নের বিপক্ষে নই। আমরা চায় উন্নয়ন হোক। কিন্তু জনগণের ক্ষতি করে সরকার কখনোই উন্নয়ন কাজ করে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই কাজ করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওয়ার্ক এসিস্টেন্ট নিরুপম চাকমা জানান, আমরা জনগণকে কোনোভাবেই কষ্ট দিতে চাই না। আমরা ১০ দিন আগে এসে বলে গেছি এখন কাজ করছি। তিনি বলেন, এখানে বিশাল ওয়াল দেয়া হবে। ১৯ মিটার বোরিং করে ওয়াল দেয়া হবে। তাই এলাকাটাকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। সঠিক প্রস্তুত করা জন্য সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন অনুমতি দিয়েছে ঠিক সেই ভাবেই কাজ করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে নিরুপম চাকমা বলেন, আমরা কাউকে কোনো হুমকি দেইনি। এছাড়া উক্ত কাজ শুরুর আগে স্থানীয়দের কোনো নোটিশও দেয়া হয়নি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন