সরদার সিরাজ
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে দলে দলে নয় জনে জনে। সকলে ব্যাপক প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে নিজ নিজ অবস্থান থেকেই। এটা একমঞ্চ থেকে হতে পারলে আরো ভালো হতো। বেশি কার্যকর হতো। সমগ্র জাতির প্রত্যাশাও তাই। কিন্তু তবুও হচ্ছে না। উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সফল হয়নি। রাজনৈতিক বিভাজনের শেকড় খুবই মজবুত। এটা দূর করার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৫২, ১৯৭১ ও ১৯৯০-এর মতো এবারও। তবুও হচ্ছে না, কেউই রাজনীতির পঙ্কিল পথ ত্যাগ করতে পারছে না। তবুও মন্দের ভালো জাতীয় চরম শত্রুদের বিরুদ্ধে সকলেই ব্যাপক সোচ্চার হয়েছেন নিজ নিজ অবস্থান থেকেই। প্রচার মাধ্যমগুলো গরিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তাই জঙ্গিরা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সহজে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। নির্মূলও হয়ে যেতে পারে। এভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সব অঙ্গগুলোরও পূর্ণ স্বাধীনতা ও শক্তিশালী করার জন্যও জাতীয় ঐক্য হওয়া জরুরি এবং তা এখনোই এই মুহূর্তেই। কারণ এটা বাস্তবায়িত হলেই জাতির সংকট দূর হয়ে স্থায়ী মহাকল্যাণ সৃষ্টি হবে। ফলে চিরস্মরণীয় থাকবে সংশ্লিষ্ট সকলেই। করণীয় বিষয়গুলো হচ্ছে-
বিচার বিভাগকে পূর্ণ স্বাধীন করার জন্য সংবিধানে নির্দেশ রয়েছে। তবুও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই কয়েক বছর আগে এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক দলীয় লোক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় অনেক বিচার কাজে সরকারের প্রভাব থাকতে পারে বলে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। অবশ্য অনেক মামলার যুগান্তরকারী রায়ও আছে। অন্যদিকে নি¤œ আদালতে সরকারের প্রভাব এখন প্রকট বলেই মনে করা হয়। তাই সেখানের ওপর মানুষের আস্থা আরো কম। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের পূর্ণ আস্থাভাজন হওয়ার জন্য গোটা বিচার বিভাগকেই পূর্ণ স্বাধীন ও শাক্তিশালী করতে হবে। থাকতে হবে নিজস্ব সচিবালয়, প্রয়োজনীয় লোকবল ও অর্থ। দ্বিতীয়ত দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লক্ষাধিক। তন্মধ্যে বহু মামলা দীর্ঘদিনের। আরো অনেক নতুন মামলা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তাই ভয়াবহ মামলাজট দূর হবে না সহসাই। অথচ বিচারকার্য দীর্ঘায়িত হওয়ায় দেশের লাখ লাখ পরিবার আর্থিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। বিভিন্ন অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধীরা যথাসময়ে শাস্তি না পাওয়ায়। তাই সব মামলাই স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিষ্পন্ন করার বিধান করা দরকার। প্রয়োজনে বিশেষ আদালতগুলোর মতো সিস্টেম করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত বহু মামলার রায় বাস্তবায়ন হয় না সহসাই। এমনকি উচ্চ আদালতেরও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায়ার এবং বিলম্বে হওয়ার নজির অসংখ্য। ফলে এ ক্ষেত্রেও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই অবস্থারও অবসান হওয়া জরুরি।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই দুর্বল। যেমন: দুদক, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, পিএসসি ইত্যাদি। কেননা মুখে স্বাধীন বলা হলেও আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা নেই কোনটিরই। এমনকি নিজস্ব সচিবালয়ও নেই। চেয়ারম্যান, কমিশনার ও অন্যান্য লোকজনকে নিয়োগ দেন সরকার। তাও দলীয় এবং খাতিরের লোকদের। তাই সব প্রতিষ্ঠানেরই সব লোকজনকে সরকারের আজ্ঞাবাহ হয়েই থাকতে হয়। তাই কমিশনগুলো কার্যকর হতে পারছে না। ফলে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করার বিধান আছে সংবিধানে, তা স্বীকারও করে সকলেই। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়েই সবাই তা বেমালুম ভুলে যায় কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যেই পূর্ণভাবে স্বাধীন করে না। এই অবস্থায় দেশের কল্যাণের স্বার্থেই সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেই পূর্ণ স্বাধীন ও মহাশক্তিশালী করতে হবে বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতোই।
স্থানীয় সরকার পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করে স্থানীয় সব উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্ম নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করার বিধান আছে সংবিধানে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি কখনোই। ফলে এমপিরাই স্থানীয় উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজ করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। ফলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি, কেন্দ্রীভূতই রয়েছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব বিকশিত হয়নি। এমপি ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব-বিরোধ সর্বত্রই সার্বক্ষণিকও। অপরদিকে সব কর্মই কেন্দ্র হতে পরিচালিত হওয়ায় সরকারের কর্মের পরিধি ব্যাপক। দ্বিতীয়ত সব কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে হওয়ায় জাতীয় রাজনীতি ব্যাপক লাভজনক হয়ে উঠেছে। তাই অর্থ লোভেই ব্যবসায়ী ও দুর্বৃত্তরা জাতীয় রাজনীতিতে প্রবশে করছেন। নেতৃত্বও দখল করে ফেলেছেন। ফলে জাতীয় রাজনীতি চরমভাবে কলুষিত হয়ে পড়েছে। ঘটেছে ব্যাপক দুর্বৃত্তায়ন। ফলে মেধাবী সৎ ও যোগ্য লোকরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা এখনও আছেন তারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। কদর বেড়েছে ট্রাকের হেলপার নুর হোসেনদের মতো লোকের। ফলে দেশের শান্তি ও উন্নতি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গণতন্ত্রও শক্তিশালী হতে পারছে না। তাই সংবিধান মতে স্থানীয় সব উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজ এমপিদের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে অর্পণ করতে হবে। এমপিদের কাজ হবে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন ও জাতীয় বাজেট পাস। এই ব্যবস্থা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই বিদ্যমান এবং বহুদিন পূর্ব হতেই। তাছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের কর্ম নির্ধারণ করা নেই (নারী এমপিদেরও)। তাই তাদের পুরুষ প্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। যা খুবই অমর্যাদাকর। তাই এই সংকট দূর করা দরকার। তাহলেই নারীরা নেতৃত্বদানে উৎসাহী হয়ে উঠবেন। অন্যদিকে জেলা পরিষদের কর্ম নিয়েও কিছু অস্পষ্টতা আছে। এটাও সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন। নতুবা জেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়া অমূলক নয়।
এ দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মধ্যেই তেমন গণতন্ত্র নেই। কাউন্সিল হয় না দীর্ঘদিন। যখন হয় তখন কমিটি গঠন করা হয় না। অনেক অপেক্ষার পর হয়। তাও মনোনয়নের মাধ্যমে। ফলে প্রকৃত যোগ্য সৎ ও কর্মীবান্ধব লোকরা কমিটিতে স্থান পায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। কমিটিতে স্থান পায় মোসাবেহী, বিত্তবান, আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন। যাদের বেশিরভাগই শহরের কিংবা অরাজনৈতিক লোক। দলের লোকদের সাথে তেমন সম্পৃক্ততা নেই। তাই তারা মানুষের সুখ-দুঃখ ও আশা-আকাক্সক্ষা বুঝতে পারেন না। ফলে দলের আদর্শ ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। ফলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। যা ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর নয়। কারণ মানুষের জন্যই রাজনীতি সেই রাজনীতিতে যদি মানুষ সম্পৃক্ত না হয় তাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না। উন্নতি বৃদ্ধি পায় না। তাই দেশের রাজনীতি প্রচলিত রীতি বন্ধ করতে হবে আইনগতভাবেই। সব দলেরই কেন্দ্র হতে প্রতিটি ইউনিট পর্যন্ত দুই বছর পর পর কাউন্সিল, কাউন্সিলেই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন করে তাৎক্ষণিক রেজাল্ট ঘোষণা, প্রত্যেক কমিটিতেই ৩০% নির্বাচিত নারী, কোন পর্যায়েই কেউই দুই মেয়াদের বেশি একই পদে বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচন করতে না পারা, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসেই আগের বছরের দলের আয়ব্যয়ের হিসেব দাখিল ইত্যাদি বিধান করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যে দল ব্যর্থ হবে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনৈতিক কর্মকা- ও সব পর্যায়েরই নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই সব দলেই নিয়মতন্ত্র ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
ছাত্র শ্রমিক ও পেশাজীবীদের অধিকাংশই জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রের সর্বত্রই তারা মাতৃসংগঠনের শাখা গঠন করে দলীয় কর্মকা- পরিচালনা করা হচ্ছে অনবরতই। ফলে সর্বত্রই ব্যাপক দলাদলি-হানাহানিতে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। তাতে করে শিক্ষার মান ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কমেছে ব্যাপক। পেশাজীবীদেরও পেশার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে সার্বিকভাবেই দেশের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ছাত্র-শ্রমিক ও পেশজীবীদের নিজস্ব স্বার্থের বিষয়টি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মর্যাদাও তাদের ক্ষুণœ হয়ে পড়েছে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ছাত্র, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের জাতীয় রাজনীতির লেজুরবৃত্তি নিষিদ্ধ করতে হবে দেশে ও বিদেশে। তাহলেই তাদের কল্যাণ হবে, প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ হবে সর্বোপরি দেশের কল্যাণ হবে। তবে তাদের নিজস্ব পেশার সংগঠন করার ও সংগঠনের তৎপরতা চালানোর অধিকার বহাল রাখতে হবে। কারণ এটা তাদের মৌলিক অধিকার, আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত। স্মরণীয় যে, রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করার জন্য তাদের এগিয়ে আসা দরকার। কারণ এটা হলেই তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিভাজন দূর হয়ে দৃঢ় ঐক্য গড়ে উঠবে। আর ঐক্য হলেই ব্যাপক শক্তির সৃষ্টি হবে। সকলেই সমীহ করে চলবে। মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে একটা উদাহরণ প্রণিধানযোগ্য। তা হচ্ছে; জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে মাত্র একটি ফেডারেশন তাই বিশাল শক্তিশালী তারা। ফলে সব রাজনৈতিক দল ও সরকার তাদের সমীহ করে চলে। ন্যায্য দাবি মেনে নিতে বিলম্ব করে না। বিলম্ব করলেই প্রবল আন্দোলনের তোড়ে ক্ষমতা ভেসে যায়। ইউরোপ ও আমেরিকার ব্যবসায়ীদের সংগঠনও খুবই শক্তিশালী। তথাপিও যদি ছাত্র, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের মধ্যে কেউ জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে চায় তাতে বাধা দেয়া অনুচিত। কেননা এটাও তার অধিকার। তবে সেক্ষেত্রে তার পেশার নেতৃত্ব ছাড়তে হবে এমন শর্ত থাকতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে আমরা ভারতের কথা বলতে পারি। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর হতে গণতন্ত্রে বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি সেখানে। তাই নানা ঝড়ঝাপ্টার পরও অখ-তা বিদ্যমান। এর প্রধান কারণ হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর মতোই ভারতের দেশ পরিচালনার অঙ্গগুলো পূর্ণ স্বাধীন ও খুবই শক্তিশালী। তাই আর্থিক ও সামরিক শক্তিতে দিন দিন বলীয়ান হয়ে উঠছে দেশটি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কথাই ধরা যাক। সেখানে নির্বাচন কমিশন এত স্বাধীন ও শক্তিশালী যে, প্রধানমন্ত্রীর কোন পরামর্শকেও বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয় না তারা। তাই নির্বাচন খুবই নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। কেউই কোন আপত্তি তোলে না। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয় আর বিরোধী দল জয়ী হয় কখনো কখনো। তাই কয়েক বছর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশানর টিএন সেশান এশিয়ার শ্রেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনারের এওয়ার্ড পেয়েছিলেন। অথচ একই সময়ে স্বাধীনত হওয়া পাকিস্তান ভারতের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে যেন। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। প্রায় একই অবস্থা স্বাধীন বাংলাদেশেও। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, আর আকাক্সক্ষার অধিকাংশই পূরণ হয়নি বেশিরভাগই মানুষেরই। যেমন: পূর্ণ গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ন্যায়বিচার থেকে মানুষ বঞ্চিত। কারণ দেশ পরিচালনার অঙ্গগুলো পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী নয়। তাই মহান স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এগুলোকে পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে এখনোই জাতীয় ঐক্য হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যম ও সুশীল সমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার দরকার।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন