দক্ষিণ-পশ্চিমের মাঠে মাঠে এখন সোনালী ছোপ। কিছু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলও হয়েছে আশানুরূপ। কিন্তু এবার এই অঞ্চলে আবাদ টার্গেট পুরণ হয়নি রোপা আমনের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, যশোর ও কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ করে শার্শা ও ভেড়ামারায় ভারতীয় পানি ঢুকেছে। মাত্রাতিরিক্ত পানিবদ্ধতায় রোপা আমনের শেষ মুহূর্তে ধান রোপন করা যায়নি। এই তথ্য জানিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা। তবে তিনি জানালেন টার্গেট পূরণ হয়নি ঠিকই কিন্তু ধানের ফলন এবার হয়েছে আশানুরূপ এবং নতুন নতুন জাতের সমারোহ ঘটে।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমের ছয় জেলায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ টার্গেট ছিল। প্রকৃতপক্ষে আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে। যশোরের খাজুরা এলাকার কৃষক আব্দুল কুদ্দুস ও ঝিনাইদহের মধুপুরের ইরফান আলীসহ কৃষকরা জানিয়েছেন, মাঠের চেহারা বলে দিচ্ছে রোপা আমনেরও বাম্পার ফলন হবে। কোথাও ধান কাটা শুরু হয়েছে। কোথাও সবুজ আর সোনালীর সংমিশ্রণে নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকরা প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রোপা আমন ধানের মাঠের দিকে দৃষ্টি রাখছেন দিনের বেশিরভাগ সময়। তবে বেশিরভাগ জমিতেই ধান কাটার আগে কৃষকরা মাঠে মাঠে ধান পরখ করে দেখছেন। বর্তমান আবহাওয়াও অনুকূলে। ভালোমতোই কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন।
ধানের দামও এবার ভালো পাবার আশা করছেন কৃষকরা। সরকার যাতে সময়মতো সংগ্রহ অভিযান শুরু করে এবং মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরে তার ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। কারণ এর আগে ধান কৃষকদের হাত থেকে মহাজন, ফড়িয়া ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাওয়ায়, ধান ওঠা মৌসুমে দাম একেবারেই কম ছিল কিন্তু পরবর্তীতে দাম বেশি হয়। যার সুফল সাধারণ কৃষকরা পাননি। পেয়েছেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও একশ্রেণির চাতাল মালিকরা। রোপা আমনের ক্ষেত্রে সেটি যেন না হয়, সেই দাবি কৃষকদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন