শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

মূর্তি ও ভাস্কর্য : ইসলাম কী বলে-১

মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

কোনো প্রাণীর-মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামী শরীয়তে কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম । মূর্তি সংগ্রহ, মূর্তি সংরক্ষণ এবং মূর্তির বেচাকেনা ইত্যাদি সকল বিষয় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ।

মূর্তিপূজার কথা তো বলাই বাহুল্য, মূর্তি নির্মাণেরও কিছু কিছু পর্যায় এমন রয়েছে যা কুফরী। কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কোরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে কোরআন মাজীদের স্পষ্ট নির্দেশ : তোমরা পরিহার করো অপবিত্র বস্তু অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ (সূরা হজ্জ : ৩০)।

এই আয়াতে পরিষ্কারভাবে সব ধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে, উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্তু। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।

অন্য আয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে : ‘এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে।’ (সূরা নূহ : ২৩)।

এখানে কাফের সম্প্রদায়ের দুটো বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে : ১. মিথ্যা উপাস্যদের পরিত্যাগ না করা। ২. মূর্তি ও ভাস্কর্য পরিহার না করা। তাহলে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার মতো ভাস্কর্যপ্রীতিও কোরআন মাজীদে কাফেরদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত। অতএব এটা যে ইসলামে গর্হিত ও পরিত্যাজ্য তা তো বলাই বাহুল্য।

উপরের আয়াতে উল্লেখিত মূর্তিগুলো সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এগুলো হচ্ছে নূহ আ.-এর সম্প্রদায়ের কিছু পুণ্যবান লোকের নাম। তারা যখন মৃত্যুবরণ করেছে তখন শয়তান তাদের সম্প্রদায়কে এই কুমন্ত্রণা দিয়েছে যে, তাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে মূর্তি স্থাপন করা হোক এবং তাদের নামে সেগুলোকে নামকরণ করা হোক। লোকেরা এমনই করল। ওই প্রজন্ম যদিও এই সব মূর্তির পূজা করেনি কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকৃত বিষয় অস্পষ্ট হয়ে গেল এবং পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পূজায় লিপ্ত হলো। (সহীহ বুখারী হাদীস : ৪৯২০)।

কোরআন মাজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে: ‘ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’ (সূরা ইবরাহীম : ৩৬)। অন্য আয়াতে এসেছে : ‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ (সূরা নূহ : ২৩-২৪)।

কোরআন মাজীদে একটি বস্তুকে ভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে এরপর ইসলামী শরীয়তে তা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য থাকবে-এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কী হতে পারে। কোরআনের ভাষায় মূর্তি ও ভাস্কর্য হলো বহুবিধ মিথ্যার উৎস। ইরশাদ হয়েছে : তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’। (সূরা আনকাবুত : ১৭)। মূর্তি ও ভাস্কর্য যেহেতু অসংখ্য মিথ্যার উদ্ভব ও বিকাশের উৎস তাই উপরের আয়াতে একে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে, মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (27)
Harun Ur Rashid ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১০ এএম says : 2
এটা সরকারকে কে বোঝাবে ?
Total Reply(0)
Md Ridoy ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 1
হযরত মূসা (আঃ) এর ভাস্কর্য নেই তবুও মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে। ফেরাউনের পুরো দেহটাই রয়ে গেল অথচ মানুষ মনের গহীন থেকে ঘৃণা করে। জ্ঞানীগন বুঝবেন।
Total Reply(1)
Md. Aman Ullah Talukder ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১০:১০ এএম says : 1
Timely remarks. Absolutely right.
Molla Nazim Uddin ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 1
অসাধারণ দালিলিক আলোচনা করেছেন মুহতারাম আপনি। জাযাকাল্লাহ।
Total Reply(0)
Khurshed Alam Rakib ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 1
প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত নিজেদের ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশোনা করা,নামে শুধু মুসলিম পরিচয় আমাদের জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। জেনে বুঝে, আমল করে তারপরে আমাদেরকে জান্নাতে যেতে হবে। তা না হলে এদেশের কিছু লেভেল দাড়ি জ্ঞানী ব্যক্তিরা পুরো জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে। আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক । আমিন
Total Reply(0)
Shakib Mahbub ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 1
এতো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলা সত্যি প্রশংসনীয়। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।
Total Reply(0)
Subhani Numani ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ।। বর্তমান সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন । আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন এবং নেক হায়াত দারাজ করুন।
Total Reply(0)
Jesmin Anowara ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 2
o prime minister of Bangladesh kindly read above article about idol and Statue. After reading this article, no fathowa or reference is necessary on idol/statue
Total Reply(1)
১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:০২ পিএম says : 1
habib ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:১৭ এএম says : 1
Very poor about Islamic knowledge those who supporting statue or idol and it could be lead to them JAHANNAM....
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩৮ এএম says : 2
আলহামদুলিল্লাহ এই দলিলটি বর্তমান প্রেক্ষাপট সরকারের জন্য খুবই কার্যকরী।।। সরকারের তেলবাজ আলেমদের এই দলিলটি দেখা উচিত।।। শরিয়ত নিয়ে বাড়াবাড়ি করা মোটেই শোভনীয় নয়।।
Total Reply(0)
Nannu chowhan ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৪ এএম says : 1
Hellow ms.prime minister sk.Hasina,you wake up pls.lf you really love your Late father you should not let make the idol or statues for him which will creat for him hell,do you want that, why do you have to follow bedin Kafer nasara? If you really love your parents you make doah ,ever after pray,"rabbir ham homa kama rabba yani sagira"& in your heart for them love respect & pray.
Total Reply(0)
মুহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪৭ এএম says : 1
এক শ্রেণীর আলেম ভাস্কর্যের পক্ষ নিয়ে ঈমান হারা হচ্ছেন। তারা কি এই লেখাটি পড়ে তাদের ঈমান নবায়ন করবেন ? কেননা, জ্ঞানত হালালকে হারাম মনে করলে বা হারামকে হালাল মনে করলে ঈমান থাকে না। সম্ভবত এটি সেই ফেতনার সময় যখন কোনো মানুষ সকালে মুমিন ছিল বিকেলে কাফির হয়ে গেল অথবা বিকেলে মুমিন ছিল সকালে কাফির হয়ে গেল। দুনিয়ার লোভে ঈমান পরিপন্থী আক্বিদা পোষণ করার ফলে এমনটি হবে বলে আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বলে গেছেন।
Total Reply(0)
মো: শফিউর রহমান ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১৪ পিএম says : 1
আমরা কোন দেশে কি হচ্ছে তা নিয়ে বারাবারি করবো কেন ? নিজকে আমরা মুসলমান যদি দাবি করি তা হলে কেন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বারাবরি করতেছি ? কোন সন্তানের বাবা মা মারা গেলে কবরে মা বাবা চেয়ে থাকে তার সন্তানদের দিকে কখন তাদের জন্য আল্লাহর কছে তাদের জন্য দোয়া করবে । তাই বলবো এ নিয়ে হানা হানি না করে আমরা পবিত্র কোরানুল কারিম এবং সুন্নাহ মাফিক জীবন গরি এবং মেনে চলি । এতে বাবা মা কবরে শান্তিতে থাকবে । দুনিয়া দুদিনের । মৃর্তু অবদারিত এর চেয়ে কাছে কিছু নেই ? এটাকে বিশ্বাস করতে পারলে মোহান আল্লহকে বিশ্বাস করা কঠিন হবেনা । তাই আসুন আমরা সবে মিলে দেশটা গরি তাহলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো ।
Total Reply(1)
১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:২৭ পিএম says : 2
Shafaeth Hossain ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪২ পিএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর লিখনি ,আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক আমিন ।
Total Reply(0)
Sadat ali shikdar ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৬ পিএম says : 1
Jara mortir pokhi kotha boli ferawn ar shompoday
Total Reply(0)
Sadat ali shikdar ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৬ পিএম says : 1
Jara mortir pokhi kotha boli ferawn ar shompoday
Total Reply(0)
Antor ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২৫ পিএম says : 1
Murty puja ba vaskarjo haram ata shudhu quran a likha asa sai jonno e muslim vai ra murty puja ba vaskarjo k grina kora kintu grina korar pasona logic ta ki? ....
Total Reply(0)
Rezaul karim ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪৪ পিএম says : 1
আল্লীৃাহ হযরতকে নেক ও বরকত ওয়ালা হায়াত দান করুন ৷ আমীন৷৷
Total Reply(0)
Mohammad Mosharaf Mojumder ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:১৪ এএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ্।একটি সময় উপযোগী আলোচনা।
Total Reply(0)
Md Ripon Mia ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০২ পিএম says : 1
বাংলাদেশ সরকার তো শুধু শুধু আলেমদের দোষ দিতেছে তারা বলতাছে এগুলো উস্কানিমূলক কথা তারা তো ব‍্যাপারটিকে কুরআন হাদীসের আলোকে বিচার করছেনা
Total Reply(0)
Md Anwar ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:১৯ এএম says : 1
দলমত নির্বিশেষে বলছি,ইসলাম যেটাকে অবৈধ ঘোষণা করবে আমরা সেটার পক্ষেই থাকব ইনশাআল্লাহ। যতো বাঁধা আসুক আমরা তাঁর বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত থাকব। আর যে দলই ইসলামের বিপক্ষে বলবে তাঁর বিরুদ্ধে লড়ব।
Total Reply(0)
Md Anwar ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:২০ এএম says : 1
দলমত নির্বিশেষে বলছি,ইসলাম যেটাকে অবৈধ ঘোষণা করবে আমরা সেটার পক্ষেই থাকব ইনশাআল্লাহ। যতো বাঁধা আসুক আমরা তাঁর বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত থাকব। আর যে দলই ইসলামের বিপক্ষে বলবে তাঁর বিরুদ্ধে লড়ব।
Total Reply(0)
mehraj ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:১৪ পিএম says : 1
হযরত কে অশেষ ধন্যবাদ এমন সুস্পষ্ট আলোচনার জন্য।। আশা করি আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দিবেন ।
Total Reply(0)
mehraj ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:১৪ পিএম says : 1
হযরত কে অশেষ ধন্যবাদ এমন সুস্পষ্ট আলোচনার জন্য।। আশা করি আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দিবেন ।
Total Reply(0)
মাওঃআশিকুর রাহমান ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৭ এএম says : 1
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা হজ্জ স্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছেন যে, তোমরা পরিহার করো অপবিত্র বস্তু অর্থ্যাৎ মুর্তি সমুহ এবং পরিহার করো মিথ্যাকথন। সূরা হজ্জঃ আয়াত নং 30 বিষেশত আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূল জনাব মুহাম্মদ সাঃ কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন মানুষদেরকে সাবধান করার জন্য। এবং মক্কার কাফিররা কা,বা ঘরে ৩৬০টি মুর্তি স্হাপন করে ছিল । যাদের মধ্যে ১। হযরত ইবরাহীম আঃ ও ঈসমাইল আঃ এর বাপ ছেলের দু,টি মুর্তি বানিয়েছিল । আর সেই দু,টি মুর্তিকে তারা ইবাদত করতো। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মানুষ বা মুর্তির ইবাদত করা শিরক। তাই এই দু,টি মুর্তি রাসূল সাঃ ভেঙ্গে উড়িয়ে দিলেন। বর্তমানে মুজিবের ভাস্কর্য বানালে এটাকেও উড়িয়ে দেওয়া । নারায়ে তাকবীর ধ্বনিতে ঢাকাকে কাপাবো মোরা।
Total Reply(0)
MotasimsBlog ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০৩ এএম says : 0
আজ তারা আবু জাহেলদের উত্তর সুরী বুঝে ও না বঝার ভান করে আছে। ...
Total Reply(0)
MD. NUR AMIN ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম says : 0
যেখানে আল্লাহ তায়ালা নিযেই বলেছেন-“এই তো কিতাব,যাতে কোন সন্দেহ নেই,আছে মোত্তাকীদের (অন্যায় পরিহারকারী, আ্ল্লাহভীরু সৎকর্মশীল ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তিদের) জন্য পথনির্দেশ; (সূরা বাকারা-2)। আবার পরের আয়াতে মোত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করে বলেছেন:-“যারা অদৃশ্যে সত্যকে বিশ্বাস করে, নামায আদায় করে, আর আমি তাদেরকে যা দান করেছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে(সূরা বাকারা-3)। যারা কোরআন কে অবিশ্বাস করে তাদের বিষয়ে বলেছেন:- “বস্তুত যারা () অবিশ্বাস করে তাদেরকে তুমি সর্তক করো কিংবা না করো, তাদের জন্য একই কথা, তারা বিশ্বাস করবে না (সূরা বাকারা-6)। আল্লাহ তাদের অন্তর ও কান সীল করে দিয়েছেন এবং তাদের চোখের ওপর একপ্রকার আবরণ পড়েছে। ওদের জন্য বড়রকম শাস্তি নির্ধারিত আছে(সূরা বাকারা-7)। আবার কিছু মানুষ আছে যারা বলে,“আমরা আল্লাহ ও পরকালকে বিশ্বাস করেছি”; কিন্তু আসলে তারা বিশ্বাসী নয়(সূরা বাকারা-8)। তারা আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের ধোঁকা দিতে চায়, তবে কার্যত তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা দেয়, যা তারা বুঝতে পারে না(সূরা বাকারা-9)। কিছু লোক দ্বীনিয়ার লোভে পরে আল্লাহর সাথে বিরোধিতা করে এবং কিছু লোক আছে না বুঝেই আল্লাহর সাথে বিরোধিতা করে তাই তাদের কে কোরআন ও হাদিস সহীহ শুদ্ধ ভাবে জানতে হবে এবং এর ব্যাখ্যা অবশ্যই জানতে হবে।
Total Reply(0)
Sani ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৩২ এএম says : 0
এমব্রয়ডারিতে যে ফুল পাতার নকশা করা হয় তার বদলে এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের ঠাকুর এর মূর্তির কাজ করা হয় সুতো দিয়ে সেলাই এর কাজ সেটা কি কোনো মুসলিম এর জন্য যায়েজ হবে ? Pleaseঅতি শীঘ্রই জানাবেন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন