শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব -ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সততা ও কমিটমেন্টের সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব।
গতকাল শনিবার বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অবমূল্যায়নের অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও তন্ন তন্ন করে খুঁজে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোনো সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা তাদের সন্তানদের যোগ্য ও মানুষের মতো মানুষ করেছেন। হাওয়া ভবন-খাওয়া ভবন করেননি। মন্ত্রী বলেন, যে বুলেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পিতৃহারা, ভাইহারা, স্বজনহারা করেছে, সেই বুলেটই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বামীহারা করেছে। রাজনীতিতে খুনের অপসংস্কৃতি, খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, খুনিদের পুরস্কৃত করা না হলে খালেদা জিয়াকে স্বামীহারা হতে হতো না। রাজনীতিতে খুন, হত্যার ষড়যন্ত্র অব্যাহতভাবে চলত না। তাই রাজনীতিতে যারা খুনিদের পুরস্কৃত করেছে তাদের কথা বারবার বলে খুনিদের পুরস্কৃতকারীদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যারা রাজনীতির মঞ্চের পেছনে থেকে ষড়যন্ত্র করে, খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, খুনিদের পুরস্কৃত করে ইতিহাসের আদালতে তাদের বিচার হবেই এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বিশেষ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারী, খুনিদের মদদদাতা, পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। স্মরণসভায় আরও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সাবেক আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন