পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুছা হায়দার (৫২) কে হত্যা চেষ্টার ঘটনার সাত দিন পর মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। মুছা হায়দার পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত আঃ সত্তার মৃধার ছেলে। হামলায় মারাত্মক আহত ওই ইউপি সদস্য বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুছা হায়দারের সাথে উপজেলার পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে এনায়েতুর রহমান মিলন ও টিপু মৃধা এবং তাদের মামী মলিনা বেগমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৬ নভেম্বও বৃহষ্পতিবার সকালে মুছা হায়দারের পৈত্রিক ওই জমিতে প্রতিপক্ষরা মাটি কাঁটতে আসে। এসময় তিনি ঘটনাটি ওসিকে অবহিত করলে পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাঁটা বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে মুছা হায়দারকে পুরাতন সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে একা পেয়ে এনায়েতুর রহমান মিলন ও টিপু মৃধা এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম পরে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গুরতর আহত মুছা হায়দার অভিযোগ করেন, হত্যা চেষ্টার এ ঘটনায় ওই দিন রাতে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড না করে ঘড়িমাসি করে। পরে এলাকাবাসির বিক্ষোভের আশংকায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা নিয়েছে।
এ ব্যপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, তদন্ত করার জন্য মামলা নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন