জয়পুরহাট শহরতলি পারুলিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে স্বামী রাসেল তার স্ত্রী রুমি আক্তারকে আগুনে পুড়ে মারা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এখন জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার
জানা যায় গত ১১ মাস আগে জয়পুরহাট শহর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন পারুলিয়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রাসেল হোসেনের বিয়ে হয় পাঁচবিবি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে রুমি আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রুমিকে বিভিন্ন ভাবে প্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো রাসেলসহ তার মা বাবা।
এরই এক পর্যায়ে ২৮ মে রাত ১২টার দিকে ঘমন্ত অবস্থায় রুমিকে তার স্বামী গ্যাস লাইট দিয়ে শরীরে আগুন দেয়। এ ঘটনায় পরের দিন রুমির মা-বাবা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল ও পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। অবস্থার চরম অবনতি হলে তাকে বগুড়া থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটে ভর্তি করে দিলেও অর্থাভাবে ৩ দিন পর পূনরায় তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা বলছেন তার শরীরের ৮৫% শতাংশ পুড়ে গেছে।এই অবস্থায় মেয়েটির বাবা-ম দিশেহারা হয়ে পড়েছে।এদিকে পরিবারের অভিযোগ থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে জেলা আধুনিক হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: মিজানুর রহমান বলেন মেয়েটির শরীরের ৮৫ শতাংশেরও বেশী আগুনে পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এখানে কোন বার্ন ইউনিট না থাকলেও আমরা আশা ছাড়িনি। রোগীকে সুস্থ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর জাহান বলেন এ ঘটনায় স্বামী রাসেলকে আসামী করে নির্যাতনের শিকার রুমির বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন