গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দলের মধ্যে এযাবৎ যেসব বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার হয়েছে, তা এখন থেকে অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। চলমান সমস্যার সমাধানে জাতীয় কাউন্সিল হবে। গতকাল রোববার ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরে তাঁর সচিব শাহজাহানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে ড. কামাল বলেন, স¤প্রতি গণফোরামের অভ্যন্তরে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকল্পে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে দলের অভ্যন্তরে যে বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার হয়েছে, তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
২০১৯ সালে ২৬ এপ্রিল গণফোরামের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলে যোগ দেওয়া রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সে কাউন্সিলের পর থেকেই গণফোরামে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। দলে বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার চলে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সেখান থেকে ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় গণফোরামের এই অংশ। তারা সেদিন সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র অমান্য করে সংগঠনের ঐক্য ও স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য গণফোরামের আহবায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, সদস্য মোহসিন রশিদ, আওম শফিক উল্লাহ এবং মোশতাক আহমেদকে বহিষ্কার করে।
এ ছাড়া ১৭ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শোকজ নোটিশের জবাব না দেওয়ায় গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশ মন্টু, সুব্রতসহ আটজনকে বহিষ্কার করে এবং ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়।
বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কারের মধ্যেই দুই পক্ষ এক হওয়ার গুঞ্জন শোনা যায় এবং গত ১১ নভেম্বর রেজা কিবরিয়া এক বিবৃতিতে তাঁদের কাউন্সিল স্থগিতের কথা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন