অভিনয়ে ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন সিনেমা ও নাটকের গুনী অভিনেতা জিল্লুর রহমান। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আগরতলা বকুলনগর ক্যাম্পে তিনি দীর্ঘ ছয় মাস মুক্তিযোদ্ধাদের ফিজিক্যাল ইনস্ট্র্যাকটর হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লায় আব্দুল কুদ্দুস মাখন ও শেখ ফজলুর হক মনির নির্দেশে বাঞ্চারামপুরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই অভিনেতা হিসেবে ১৯৬৯ সালে নূরুল হক বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘বেদের মেয়ে’ সিনেমায় তার অভিষেক হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘কী যে করি’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘বাহাদুর’, ‘রাজ দুলারী’, ‘প্রতিহিংসা’, ‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’সহ পঞ্চাশটিরও অধিক সিনেমাতে অভিনয় করেন। টিভিতে তিনি প্রথম আতিকুল হক চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘রক্তে ভেজা শাপলা’ নাটকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে আরো বহু নাটকে অভিনয় করেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় জীবন প্রসঙ্গে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি জোর করে অর্জন করা যায় না। এখন পর্যন্ত ভালো আছি, সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে সুস্থ থাকি ভালো থাকি। অভিনয় জীবনের চলার পথে আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন তাদের প্রতি আমি ঋণী। সবচেয়ে বেশি ঋণী বিটিভির প্রযোজক নূর হোসেন দিলু ভাইয়ের কাছে। দর্শকের ভালোবাসার মাঝেই আমি আজীবন বেঁচে থাকতে চাই।’ জিল্লুর রহমানের বাবা মরহুম খলিলুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ডা. মতিয়া কাদেরী কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। স্ত্রী’র মুত্যর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। জিল্লুর রহমানের এক মেয়ে জুলি। তার স্বামী লে: কর্ণেল শমসের। চিত্রনায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর তার কলেজ জীবনের বন্ধু। তারা দু’জন একসঙ্গে নটরডেম কলেজে পড়াশুনা করেছেন। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। জিল্লুর রহমান ইত্যাদি’র শুরু থেকেই বিভিন্ন নাটিকায় অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জিল্লুর রহমানের প্রিয় অভিনেতা আনোয়ার হোসেন, এটিএম শামসুজ্জামান, প্রিয় অভিনেত্রী শবনম ও শাবনূর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন