রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাঁটাসুরে জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন কানাডা প্রবাসী ব্যাবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, টানা ৪ ঘন্টা ৯৯৯-এ ফোন করেও কোন সহযোগিতা পাননি। ৪ দিনেও থানা পুলিশ তার মামলাও নেয়নি।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হোসেন বলেন, তিনি আলী অ্যান্ড নূর রিয়েল এস্টেট নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকায় ৫২ শতাংশ জমি ক্রয়ে করে সেখানে সাইনবোর্ড দেন। ওই সময় স্থানীয় জাহাঙ্গীর সিকদার, কালা মামুনসহ কয়েকজন বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নির্যাতনের শিকার ও ফারুকের জমির তত্ত¡াবধায়কের স্ত্রী শিল্পী বেগম ও তার সন্তানরা। তারা হামলার বিবরণ ও সেখানে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকা লুটের বিবরণ তুলে ধরেন।
ফারুক বলেন, তার জমিতে বৈদ্যুতিক মিটার, পানির লাইনসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সংযোগ দেন। তিনি কানাডা প্রবাসী হওযায় জমিটি দুজন তত্ত¡াবধায়ক দেখাশোনা করে। তাছাড়া সেখানে দুটি ঘর আছে যাতে একটি লাইব্রেরিও রয়েছে। ওই জমিতে নূর মার্কা ৭ লাখের বেশি ইট মওজুদ রয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে নজরুল, মহিউদ্দিন, তুহিন, শাহাদাত ও পলাশের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী ও এক গ্রæপ হিজড়া সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাংচুর করে। হামলাকারীরা বাড়ির ইট, বালু, টিন, দরজা, জানালাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের জানালেও আশানূরূপ সহযোগিতা পাননি। এর আগেও তার বাড়ির কেয়ারটেকারদের ওপর হামলা ও জমিতে ভাংচুর করার কারণে আমার জমির কেয়ারটেকার শিল্পী বেগম গত ১৯ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। এ অবস্থায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই কানাডা প্রবাসী। এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, থানায় জিডি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন