রাজধানী কাজী পড়ায় জামায়াত নেতার মো.আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে কৌশলে জমি দখল করার অভিযোগ করেছে এক ভুক্তভোগী।
এ জমি নিয়ে জামায়াত নেতার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি থাকায় ২০১৪ সালে কাফরুল থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন জমির মালিক দাবি করা মো. লিয়াকত আলী।
আইন অনুযায়ী মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কারোই কাজ করার এখতিয়ার নেই । কিন্তু বিবাদী মো. আব্দুল মতিন তার স্ত্রী কোহিনূর বেগম আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে কৌশলে জমি ওয়াকফ করে মাদরাসায় জমি দান করে দেয়ারও অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
ওয়াকফ করা জমিতে মাদরাসার কমিটির লোকজন এখন ভাবন তৈরির কাজ জোরেশোরে চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কাজে বাধা দেয়ায় বাদী লিয়াকত আলীকে বিবাদী পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এজন্য কাফরুল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন লিয়াকত আলী।
কাজী পাড়ায় চার শতাংশ জমিতে লিয়াকত আলী একটি বাড়ি গড়ে তুলেন। এই বাড়ির পাশেই আরো চার শতাংশ জমি কিনেন তিনি।
পরে কেনা চার শতাংশ জমিতে মাটি ভরাট করে সেমিপাকা ঘর তুলেন। সেমিপাকা বাড়ির পাশে জমির মালিক জামায়াত নেতা মো. আব্দুল মতিন তার স্ত্রী কোহিনূর বেগম। কয়েক বছর ধরে লিয়াকত আলীর সেমিপাকা বাড়ি দখল নিতে চেষ্টা করলে জমির মালিক ২০১৪ সালে আব্দুল মতিন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলা চলমান থাকায় জমি দখল নিতে ব্যর্থ হন তারা। তাই কৌশল করে তার স্ত্রীর নামে মাদরাসা করার শর্তে মো.আব্দুল মতিন তার স্ত্রী কোহিনূর বেগম তাদের জমিসহ লিয়াকত আলীর জমি ওয়াকফ করে দেন। এরপর মাদরাসার কমিটির লোকজন বাড়ি ভেঙে ভবন তৈরি জন্য জায়গা খালি করেন। লিয়াকত আলী এর প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বরং বিভিন্ন লোক দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ লিয়াকত আলীর।
বাদী লিয়াকত আলী দাবি করে বলেন, আব্দুল মতিন একজন জামায়াত নেতা। তার নামে একাধিক মামলা আছে। তিনি বলেন, জমির দলিলপত্র সব আছে, তাই আমার জমিতে আমি সেমিপাকা ঘরে তুলে ভাড়া দিয়েছিলাম। আমার জমি দখল করায় ব্যর্থ হয়ে জামায়াত নেতা তার স্ত্রীর নামে মাদরাসা করার শর্তে তাদের জমি সঙ্গে আমার জমি ওয়াকফ করে দান করে দিয়েছেন।
এ জমি নিয়ে মামলাও চলছে, কারো পক্ষে এখনো রায় আসেনি। আমি কাজে বাধা দিতে গেলে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। আমার জমির পাশেই জামায়াত নেতা মতিনের জমি ছিলো সেই সুযোগটা তিনি কাজে লাগিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে বিরোধ ছিলো দখল করতে না পেরে কৌশলে তিনি আমার জমিসহ ওয়াকফ করে মাদরাসায় দান করেন।
বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি- দেওয়ান আব্দুর রব বলেন, জমির যে মালিক তারা আমাদের জমি দান করেছে তাই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, যার জমি তারা আমাদের মাদরাসায় দান করেছে তার ভিত্তিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জমির কাগজপত্র সব আছে আপনি এসে দেখে যান। এই জমির জন্য মামল ছিলো কিন্তু এখন সেই মামলা নাই।
এই বিষয় কথা বলার জন্য আব্দুল মতিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
কাফরুল থানা ওসি সেলিম উজ্জামান বলেন, অনেক দিনের বিষয় তাই একটু খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন