মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় বিষাক্ত পটকা মাছের তরকারি খেয়ে মারা গেছেন শ্বাশুড়ি ও পুত্রবধু। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ বছরের এক শিশু।
পুলিশ জানায় শ্রীমঙ্গলের উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় গিয়াস মিয়ার বাড়ির একপাশে নিজেরা ঘর তৈরী করে নিহত ফরিদা বেগম বসবাস করতেন তার ৩ ছেলে এক ১ পুত্রবধুকে নিয়ে। বুধবার দূপুরে পটকা মাছ নিয়ে এক মাছ বিক্রেতা বাড়িতে গেলে তার কাছ থেকে মাছ ক্রয় করেন। ওই পটকা মাছ রান্না করে দূপুরের খাবার খান শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগম, পুত্রবধু নুরুন নাহার ও ৭ বছরের শিশু সন্তান নায়েম। অপর ২ সন্তান দিনমজুর থাকায় দূপুরের খাবার খেতে সাধারণত বাড়িতে আনেনা। সন্ধ্যার পর তারা অসুস্থতাবোধ করলে এক পল্লী চিকিৎসককে এনে চিকিৎসা নেন। পরে মধ্য রাতে শ্বাশুড়ি ও পুত্রবধুর মৃত্যু হয়। আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপালে ভর্তি করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার তদন্তকারী কর্মকর্ত সাব ইন্সপেক্টর ফরিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য রান্না করা মাছ জব্ধ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন