শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে উচ্ছেদ অভিযানের ছবি তোলায় সরকারি কাজে বাধাদানের ধারায় সাংবাদিকের অর্থদণ্ড

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:৪৯ পিএম

গাছের আড়াল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ অভিযানের ছবি তোলার কারণে আবদুল হামিদ (৪১) নামের এক মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। ছবি তোলায় সরকারি কাজে বাধাদানের ধারায় ওই ব্যক্তিকে ২০০ টাকা জরিমানা (অর্থদণ্ড) করেন তিনি। যদিও এ সময় দণ্ডিত ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলেন।ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা এলাকায়। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আবদুল হামিদ (৪১)। তিনি কাহারতা গ্রামের মৃত কছর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সখিপুর উপজেলার শাখার চেয়ারম্যান, দৈনিক আকাশ বার্তা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও সখিপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য বলে দাবি করেন।আদালত সূত্রে জানায়, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা গ্রামের সরকারি খাসপুকুরের পাড় দখল করে স্থানীয় লোকজন আটটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দোকানঘরগুলো উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় আবদুল হামিদ ওরফে মুকুল গাছের আড়াল থেকে মুঠোফোনে একাধিক ছবি তোলেন। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এলে আবদুল হামিদকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ওই ব্যক্তি গোপনে একটি গাছের আড়াল থেকে ছবি তুলছিলেন। পরে তিনি তাঁর অপরাধ স্বীকার করে ছবিগুলো নিজে থেকেই মুছে ফেলেন। পরে দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ১৮৬ ধারায় তাঁকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সরকারি কর্মচারীর সরকারি কার্য সম্পাদনে বাধা দান করলে ১৮৬ নম্বর ধারায় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তির অভিযানের ছবি তোলা সরকারি কাজে বাধা দেওয়া কি না, প্রশ্নে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ওই ব্যক্তি গোপনে একটি গাছের আড়াল থেকে ছবি তুলছিলেন, ফলে সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটে। পরে তিনি দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন । এ কারণে দণ্ড দেওয়া হয়। আব্দুল হামিদ মুকুল বলেন,এসিল্যান্ড তাকে জোরপূর্বক স্বীকার করাতে বাধ্য করান এবং তিনি গোপনে ছবি উত্তোলন করেননি,সাংবাদিক হিসাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন।এ বিষয়ে সখিপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সভাপতি মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জরুরী সভা ডেকে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয় এবং সহকারি কমিশনার(ভুমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার অপসারন দাবী করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সোহেল ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম says : 0
এ খানে বাধা দিল কোথায়
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন