শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নওগাঁর মান্দায় ইউপি চেয়ারম্যান কে লাঞ্ছিত করায় মহাসড়ক অবরোধ আহত-৭

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৩০ পিএম

নওগাঁর মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডলকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় অবরুদ্ধ আইনজীবী বাবা ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন নওগাঁ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম বশির (৫৮) ও তার বড়ছেলে আসাদুজ্জামান মিলন (৩৫)। এদিকে চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গাছের গুড়ি ফেলে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, গনেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল (৪৯), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), ইলিয়াস (২৩), আলমগীর হোসেন (৪২) ও আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হেলাল হোসেন (৩৮)। এদের মধ্যে হেলাল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল জানান, শুক্রবার সকালে দোসতিনা গ্রামে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ একটি বাড়ি পরিদর্শন করে ফেরিঘাট সেতুর পূর্বধারে বজলুর রশিদের স্টলে চায়ের অর্ডার দিয়ে পানি পান করছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই ওই স্টলে আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম, তার দুইছেলে মিলন ও মিঠুন, সামসুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ ও ওসমান আলীসহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে তার ওপর হামলা করেন। অতর্কিত এ হামলায় তিনি হতবাক হয়ে যান। তবে কি কারণে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যানের ওপর হামলার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ফেরিঘাট সেতুর পূর্বপাশে ব্যক্তিগত চেম্বারে আইনজীবী বাবা ও তার ছেলে মিলনকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে তারা গাছের গুড়ি ফেলে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা এমদাদুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম, মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান, পরিদর্শক তদন্ত সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাহিদ মোর্শেদ বাবু, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনসহ অন্যান্য চেয়ারম্যানগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় উত্তেজিত জনতার কবল থেকে প্রায় ৪ ঘন্টা পর অবরুদ্ধ আইনজীবী বাবা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, দীর্ঘ সময় পর অবরুদ্ধ আইনজীবী বাবা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন