করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনে বোরো আবাদকে সামনে রেখে মীরসরাইয়ে কৃষকরা বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীজতলা তৈরি ও বীজ ছিটানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা। মীরসরাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও ধানের বাজারমূল্য কম, সেচ খরচ বেশি হওয়ায় বোরো আবাদে ভাটা পড়েছিল। কিন্তু চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো আবাদ হবে বলে জানায় কৃষি অফিস।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১ হাজার ১শ’ ৬০ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে ১শ’ হেক্টর বীজ তলা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি এক হেক্টর বীজতলায় আবাদ হবে ১৬ হেক্টর জমি। হিসাবমতে ১শ’ হেক্টর বীজ তলায় ১৬শ’ হেক্টর জমি আবাদ হবে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।
উপজেলা ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাল গ্রামের কৃষক মো. ইউছুফ জানান, এই বছর ধানের দাম বেশি থাকায় ফসলি মাঠে বোরো আবাদের জন্য তারা বোরো বীজতলা তৈরি করছেন। ইতোমধ্যেই যে সকল জমিতে রবিশষ্য আবাদ হচ্ছে না সে সকল জমিতে প্রথমদিকে এবং পৌষ মাসের শেষ দিকে যাতে ধান রোপন করা যায় সে জন্য তারা দ্রæতগতিতে বীজতলায় বীজ ছিটাচ্ছেন।
উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল আওয়াল জানান, করেরহাটে প্রত্যন্ত এলাকার আবাদী জমির জন্য প্রায় ৪০-৫০ ভাগ বোরো বীজতলায় প্রস্তুত হয়েছে। যা আগামী কিছু দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে।
স্থানীয় বীজ ব্যাবসায়ীরা জানান, বর্তমানে মীরসরাইয়ে হাঁট-বাজারে বোরো বীজের বিক্রি বেড়ে গেছে। আর স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বোরো বীজের মূল্য তাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এলাকায় বোরো বীজের কোনো সঙ্কট নেই।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কাজী নুরুল আলম জানান, মীরসরাইয়ে ফসলি মাঠে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। বোরো বীজের কোনো সঙ্কট না থাকায় এ বছর এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন