শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইলেকট্রিশিয়ান মনা হত্যা: ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ ১৯জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:৩১ পিএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান শাহজাদা খন্দকার মনাকে (৫০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতাসহ ১৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনকে শনিবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার শাহজাদা খন্দকার মনা নিজ বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। পরে গভীর রাতে সাভারে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম। শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই আহত শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে- আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে আল আমিন ওরফে বাবু মিজি (২৬), একই এলাকার জমির মোল্লার ছেলে নুরুজ্জামান (৩৫), শাহজাহানের ছেলে ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ টিটু (৩০), শাহজাহান সরকারের ছেলে ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল (৩৮) ও কবির হোসেনের ছেলে রনি (২৪), জয়পুরহাট জেলার সদর থানার রিপন হোসেনের ছেলে রকি (২১), নড়াইল জেলার নড়াগতি থানার খাশিয়াল গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম পারভেজ (১৯), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কচুয়া গ্রামের লিটনের ছেলে মেহেদী হাসান নাজমুল (২৫), একই জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে যুবলীগকর্মী আরিফ (৩০) ও শিবালয় থানার তেওতা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল (৩০), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সিনন্দীন গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন (২৫) ও একই জেলার দেলদুয়ার থানার নান্দুলিয়া গ্রামের মৃত আমির খানের ছেলে রাব্বী (১৯)। তবে সকলেই আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা।

এদের মধ্যে জুয়েল, নুরুজ্জামান, মেহেদী হাসান নাজমুল ও রেজাউল ইসলাম পারভেজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ডেন্ডাবরের ওই এলাকায় একটি ক্লাব তৈরি করে বিভিন্ন সময় আসামিরা গানবাজানা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। এতে আশপাশের বাসিন্দাদের সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় মনা তাদের এসব বন্ধ করতে বলে। পরে বৃহস্পতিবার আবার গেলে মনাকে মারধর করে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, শুক্রবার রাতেই নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিউল আলম শামিম বলেন, আরিফকে চিনি ভালো করে সে যুবলীগ করেন। আর টিটু আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তবে টিটু যদি অপরাধি হয় তাহলে শাস্তি হবে। মামলা হওয়া মানেইতো তিনি অপরাধী না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন