শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আজীবন মুসলিম উম্মাহর খেদমত করে গেছেন

চট্টগ্রামে আহলা দরবারে ইছালে ছাওয়াব মাহফিল

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আহলা দরবারে আয়োজিত ইছালে ছাওয়াব ও দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ বলেছেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন দৈনিক ইনকিলাব এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আজীবন দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর খেদমত করে গেছেন। বিশেষ করে এ দেশে মাদরাসা তথা ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তার ভ‚মিকা অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক। ইরাকসহ ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশসমূহের সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিল।

মাওলানা এম এ মান্নান এর ১৫তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বাদ আছর দরবারে সুলতানি আমলের শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
মাহফিলে মাওলানা জাহিদুল করিম চৌধুরী বলেন, মরহুম এম এ মান্নান পবিত্র ধর্ম দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারে দেশ-বিদেশে ভূমিকা রেখেছেন। পবিত্র হজ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিশ্ববিখ্যাত আলেম-ওলামাদের সাথে সাক্ষাত করতেন। আন্তর্জাতিক অনেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি এবং বক্তা হিসেবে তিনি মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন সঙ্কট এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় তুলে ধরতেন। ইরাক সরকারের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাগদাদ শরীফের পীরানে পীর গাউছুল আযম আবদুল কাদের জিলানীর মাজার তিনি একাধিকবার জেয়ারত করেছেন। মাওলানা নাসির উদ্দিন বলেন, মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। দেশের প্রায় এলাকায় ছিল তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তিনি নিজেও মানুষকে ভালবাসতেন, আলেম-ওলামাদের ইজ্জত করতেন। পীর-মাশায়েখ এবং বিভিন্ন দরবারের সাথে তার ছিল গভীর সম্পর্ক। মাওলানা আবদুল হক বলেন, মাওলানা এম এ মান্নান দেশ, জাতি এবং মুসলমানদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে দ্বীনদার এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।
দরবারের শাহজাদা আল্লামা মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মাওলানা এম এ মান্নানের সাথে তার স্মৃতি উল্লেখ করে বলেন, আন্তর্জাতি খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত এ আলেমেদ্বীনকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তার ইমামতিতে মহাখালী গাউছুল আযম মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। তার খুৎবা শোনারও সৌভাগ্য হয়েছে। সাক্ষাতে তিনি আমাদের অনেক উপদেশ দিতেন। অনেক কঠিন প্রশ্নের সহজ করে উত্তর দিতেন তিনি। ফারসি ভাষায় কাসিদা পাঠ করে তা বাংলায় তরজমা করেও শোনাতেন। তিনি ছিলেন সুবক্তা এবং অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী।
ইছালে ছাওয়াব উপলক্ষে দরবারে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, দরূদ এবং সবশেষে তার রূহের মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালানা করেন মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন