মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম
বিশ্বের যত ধর্ম রয়েছে তন্মধ্যে একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীর সত্যিকারের অধিকার প্রদান করেছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলামই নারীকে বেঁচে থাকার অধিকার প্রদান করেছে। আরবের জাহেলি যুগে যখন কন্যাসন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হতো, কন্যাসন্তান জন্মানোকে যখন কৌলীন্য মনে করা হতো তখনই নারীমুক্তির অগ্রদূত বিশ্বনবী স. নারীকে মাতৃত্বের আসনে সমাসীন করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। একজন নারীকে এর চেয়ে বেশি সম্মান অন্য কোনো ব্যক্তি বা ধর্ম প্রদান করেছে বলে ইতিহাসে নজির নেই। বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে প্রিয়নবী স.-এর দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ হলো- “পুরুষের প্রতি যেমন নারীর অধিকার রয়েছে তেমনি নারীর প্রতিও রয়েছে পুরুষের অধিকার।” তিনি আরো ঘোষণা করেছেন, ‘সাবধান! নারীর অধিকারের ব্যাপারে তোমরা সজাগ থাকবে।’ পবিত্র কুরআনে সূরা নিসা ও সূরা মারইয়াম শিরোনামে পৃথক দুটি সূরা থাকলেও সূরা রিজাল তথা পুরুষ শিরোনামে কোনো সূরা নেই। ইসলামে এরচেয়ে আর নারীর মর্যাদা কী হতে পারে? যখন নারীকে দাসী বলে গণ্য করা হতো এবং নারীকে পণ্যদ্রব্যের ন্যায় হাটবাজারে উঠিয়ে বিক্রি করা হতো তখন ইসলাম দাসপ্রথাকে চিরতরে নিষিদ্ধ করে নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে।
মনে রাখতে হবে যে, কন্যাসন্তানদের বাঁচার অধিকার, তাদের অর্থনৈতিক অধিকার এমনকি সার্বিক মানবিক অধিকার ইসলামই প্রতিষ্ঠিত করেছে। একটি কন্যাসন্তানের বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত তার যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার ওপর ন্যস্ত থাকে। বিয়ের সাথে সাথেই সেই দায়িত্ব অর্পিত হয় স্বামীর ওপর। অধিকন্তু মোহরানা স্বরূপ প্রাপ্ত সম্পদের তো প্রথম দিনেই সে মালিক হয়ে যায়। এই সম্পদে স্বামী বা অন্য কারো মালিকানা নেই। আবার স্ত্রীর আয়-উপার্জনের সমস্ত অর্থ তার নিজের। তাতে স্বামীর মালিকানা থাকবে না। অন্যদিকে নারীরা ওয়ারিসসূত্রে পিতা, মাতা, স্বামী, ভাইসহ সবার অংশ পেয়ে থাকে। এভাবে নারীর অর্থনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ইসলাম। মহানবী স. নারীর প্রতি অনুগ্রহ করতে, তার প্রতি অনুরাগকে সম্মান করতে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি পিতাকে হুকুম করেছেন মেয়েদের সাথে নম্র আচরণ করার জন্য।
পবিত্র কুরআন কন্যাদেরকে উত্তরাধিকার অংশ দেয়ার প্রতি এতটুকু গুরুত্ব আরোপ করেছে যে, কন্যাদের অংশকে আসল ভিত্তি সাব্যস্ত করে এর অনুপাতে পুত্রদের অংশ ব্যক্ত করেছেন এবং ‘দু’কন্যার অংশ এক পুত্রের অংশের সমপরিমাণ’ বলার পরিবর্তে ‘এক পুত্রের অংশ দু’কন্যার অংশের সমপরিমাণ’ বলে ব্যক্ত করা হয়েছে।
আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকেই বোনদেরকে অংশ দেয় না এবং বোনরা একথা চিন্তা করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চক্ষুলজ্জার খাতিরে ক্ষমা করে দেয় যে, পাওয়া যখন যাবেই না, তখন ভাইদের সাথে মন কষাকষির দরকার কি! এরূপ ক্ষমা শরিয়তের আইনে ক্ষমার্হ নয়; ভাইদের জিম্মায় তাদের হক পাওনা থেকে যায়। যারা এভাবে ওয়ারিসী স্বত্ব আত্মসাৎ করে, তারা কঠোর গুনাহগার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নাবালেগা কন্যাও থাকে। তাদেরকে অংশ না দেয়া দ্বিগুণ গুনাহ। এক গুনাহ শরিয়তসম্মত ওয়ারিসের অংশ আত্মসাৎ করার এবং দ্বিতীয় গুনাহ এতিমের সম্পত্তি হজম করে নেয়ার। এরপর আরো ব্যাখ্যা সহকারে কন্যাদের অংশ বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, ‘যদি পুত্র সন্তান না থাকে, শুধু একাধিক কন্যাই থাকে, তবে তারা ত্যাজ্য সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ পাবে। এতে সব কন্যাই সমান অংশীদার হবে। অবশিষ্ট তিন ভাগের একাংশ অন্যান্য ওয়ারিস যেমন মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতা, স্ত্রী অথবা স্বামী প্রমুখ পাবে। কন্যাদের সংখ্যা দু’ বা তার বেশি হলে দু’-তৃতীয়াংশের মধ্যে তারা সমান অংশীদার হবে। [মাআরেফুল কুরআন : ২৩৬]
ইসলাম সন্তানকে চোখ জুড়ানো সম্পদ বলে বিবেচনা করে থাকে। সন্তান পুত্র হোক বা কন্যা হোক আচরণের ক্ষেত্রে এ দুয়ের মধ্যে কোনোরূপ পার্থক্য করা ইসলাম সমর্থন করে না। মহানবী স. ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য বিধান এবং মেয়েদের উপরে ছেলেদের অহেতুক প্রাধান্যদানে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
কন্যাসন্তানের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা জাহেলি যুগের বৈশিষ্ট্য। ইসলাম জাহেলি যুগের এসব বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইনসাফের বিধান প্রবর্তন করেছে। তাই কন্যাসন্তানদের প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না করে সকলকেই সমান নজরে দেখা উচিত। ইসলাম কন্যাসন্তানের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে তাদের মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। সূরা নিসা, সূরা আলে ইমরান, মারইয়াম, নূর, আহযাব প্রভৃতি সূরায় কন্যাসন্তানের অধিকার সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। নবী করীম স. ইরশাদ করেছেন, কন্যাসন্তান সুগন্ধি ফুল। আমি তার সুগন্ধি গ্রহণ করি। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যার প্রথম সন্তান মেয়ে। অন্য এক হাদীসে এসেছে যে, প্রিয়নবী স. ঘোষণা করেছেন, যে ব্যক্তি তার দুটি কিংবা তিনটি মেয়েকে সঠিকভাবে লালনপালন করে সঠিকভাবে পাত্রস্থ করবে, তার জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। এ সুসংবাদ ছেলেকে লালনপালনের ক্ষেত্রে দেয়া হয়নি।
অনেকে বলে থাকেন যে, ইসলাম নারীকে পর্দাবন্দি করে তার স্বাধীনতা খর্ব করেছে। মূলত এ অভিযোগ সঠিক নয়। বরং পর্দা মুসলিম নারীর সৌন্দর্য। নারীর মান-সম্মান, ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ পর্দা। ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’ ঘোষণার মাধ্যমে নারীকে মহিমান্বিত করেছে যে ইসলাম, নারীর মহামহিম মর্যাদা রক্ষায় পর্দার অপরিহার্যতাকেও অনিবার্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছে সেই ইসলামই। পর্দা প্রথা ইসলামের সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। আর এ গুরুত্ব মূলত নারীর কল্যাণার্থেই প্রদান করা হয়েছে। ইসলামে পর্দার তাৎপর্য অপরিসীম। ঘরোয়া পরিবেশে নারীদেরকে আকর্ষণীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঢিলাঢালা বস্ত্রাবৃত রাখতে হবে। যাতে ভাবাবেগতাড়িত আপনজনের মনে কোনো ছাপ পড়ে কোনো অঘটন না ঘটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম’ গ্রন্থে (পৃ ৩৯০) হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর উদ্ধৃতিতে পর্দাকে তিনভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা : সর্বনি¤œ পর্দা, মাধ্যমিক স্তরের পর্দা ও সর্বোচ্চ পর্দা।
পর্দা মুসলিম নারীর সৌন্দর্য। নারীর মান-সম্মান, ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ পর্দা। ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’ ঘোষণার মাধ্যমে নারীকে মহিমান্বিত করেছে যে ইসলাম, নারীর মহামহিম মর্যাদা রক্ষায় পর্দার অপরিহার্যতাকেও অনিবার্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছে সেই ইসলামই।
পর্দা প্রথা ইসলামের সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। ইসলামে পর্দার তাৎপর্য অপরিসীম। ঘরোয়া পরিবেশে নারীদেরকে আকর্ষণীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঢিলাঢালা বস্ত্রাবৃত রাখতে হবে। যাতে ভাবাবেগতাড়িত আপনজনের মনে কোনো ছাপ না পড়ে।
পর্দা শুধু নারীর জন্যই নয়; বরং নারী-পুরুষ সবার জন্যই শরীয়তের অমোঘ সত্য বিধান পর্দা করা ফরজ। নারীর দৃষ্টি পুরুষের প্রতি পড়লে সে যেমন আসক্ত হয় তেমনি পুরুষের দৃষ্টি নারীর প্রতি পড়লে তারও পরিণতি একই হয়ে থাকে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টির শুরু থেকেই। আর যিনা-ব্যভিচার একজনের মাধ্যমে সংঘটিত হয় না। এখানেও নারী-পুরুষ উভয়ের সমান আগ্রহ কাজ করে। এজন্যই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ উভয়কেই তাদের স্ব-স্ব দৃষ্টি ও যৌনাঙ্গ হেফাজত করার কথা বলেছেন। নারী ও পুরুষের যে কোনো একজন পর্দা করলে অন্যায় রোধের সুষ্ঠু সমাধান হবে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, পুরুষ পর্দা করলে একজন নারী লোভনীয় অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে কাবু করা কিংবা নারী পর্দা করলে একজন পুরুষ লোভনীয় মোহনীয় ভঙ্গিমায় তাকে কাবু করা অতি সহজ কাজ। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা করা আবশ্যক।
একটি ধারণা আমাদের মাঝে বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, পর্দা শুধু নারীর জন্যই ফরজ। মূলত ইসলামের পর্দা বিধান শুধু নারীর জন্যই নয়; বরং নারী-পুরুষ সবার জন্যই শরিয়তের অমোঘ সত্য বিধান পর্দা করা ফরজ। নারীর দৃষ্টি পুরুষের প্রতি পড়লে সে যেমন আসক্ত হয় তেমনি পুরুষের দৃষ্টি নারীর প্রতি পড়লে তারও পরিণতি একই হয়ে থাকে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টির শুরু থেকেই। আর যিনা-ব্যভিচার একজনের মাধ্যমে সংঘটিত হয় না। এখানেও নারী-পুরুষ উভয়ের সমান আগ্রহ কাজ করে। এজন্যই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ উভয়কেই তাদের স্ব-স্ব দৃষ্টি ও যৌনাঙ্গ হেফাজত করার কথা বলেছেন। নারী ও পুরুষের যে কোনো একজন পর্দা করলে অন্যায় রোধের সুষ্ঠু সমাধান হবে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, পুরুষ পর্দা করলে একজন নারী লোভনীয় অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে কাবু করা কিংবা নারী পর্দা করলে একজন পুরুষ লোভনীয় মোহনীয় ভঙ্গিমায় তাকে কাবু করা অতি সহজ কাজ। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা করা আবশ্যক।
আবার একান্ত প্রয়োজনে নারীকে ঘরের বাইরে যেতে ইসলাম অনুমতি দিয়েছে। একান্ত প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে সর্বাঙ্গ ঢেকে বের হওয়া, সৌন্দর্য গোপন রাখা, শালীনতা বজায় রাখা, মুখম-ল ঢেকে রাখা, দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ রাখা নারীর কর্তব্য। নারীগণ প্রয়োজনে ঘর হতে বের হলে লম্বা চাদরে সারা শরীর আবৃত করে বের হবে এবং চাদরটি মাথার উপর দিক থেকে ঝুলিয়ে মুখম-ল আবৃত করে ফেলবে। প্রচলিত বোরকাও এর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। [মাআরিফুল কুরআন (সংক্ষিপ্ত), পৃ ১১৭৭]
পর্দা পালনের দুনিয়ারি নানা উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হলো। ১. পর্দা যৌনতা, অশ্লীলতা ও পাপাচারিতার পথ রুদ্ধ করে। ২. পর্দা সমাজকে কলুষমুক্ত করে। ৩. পর্দা সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখে। ৪. নারীর সতীত্ব রক্ষা করে। ৫. নারী জাতির মর্যাদা সংরক্ষণ করে। ৬. পুরুষকে চোখের ও মনের যিনা-ব্যভিচার হতে মুক্ত রাখে। ৭. সমাজ থেকে যিনা-ব্যভিচার উৎখাত করে। ৮. দাম্পত্য জীবন সুখময় করে তোলে। ৯. সুশঙ্খল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করে।
যে সমাজের নারীরা শালীনতার গ-িতে থাকে সে সমাজ আশা করতে পারে একটি নিদাগ পবিত্র বিধৌত আলোকিত মা জাতির। যে জাতি সমাজকে উপহার দেবে একটি পরিচ্ছন্ন আলোকময় নতুন প্রজন্ম। যাদের পরশে সোনা হয়ে ওঠবে সমাজসভ্যতা ও দেশ।
নারী এ সমাজেরই অংশ। তারা আমাদের কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রী, কারো কন্যা। তারা না থাকলে আমরা কেউই আলোর মুখ দেখতাম না। তাই তাদের মর্যাদা ও অধিকার অনস্বীকার্য। তাদের সতীত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় প্রত্যেককে সজাগ থাকা আবশ্যক। কারণ তারা ভালো হলেই আমরা পাব সুশীল ভবিষ্যৎ, পাব সুন্দর আগামী। তাইতো সমাজবিজ্ঞানী নেপোলিয়ন বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে একজন আদর্শ মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি আদর্শ জাতি উপহার দেব।’
য় লেখক : বেতার ও টেলিভিশন আলোচক
ধহধিৎঁষশধৎরস৭৩@মসধরষ.পড়স
রের বাইরে যেতে সর্বাঙ্গ ঢেকে বের হওয়া, সৌন্দর্য গোপন রাখা, শালীনতা বজায় রাখা, মুখম-ল ঢেকে রাখা, দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ রাখা নারীর কর্তব্য। নারীগণ প্রয়োজনে ঘর হতে বের হলে লম্বা চাদরে সারা শরীর আবৃত করে বের হবে এবং চাদরটি মাথার উপর দিক থেকে ঝুলিয়ে মুখম-ল আবৃত করে ফেলবে। প্রচলিত বোরকাও এর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। [মাআরিফুল কুরআন (সংক্ষিপ্ত), পৃ ১১৭৭]পর্দা পালনের দুনিয়ারি নানা উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হলো। ১. পর্দা যৌনতা, অশ্লীলতা ও পাপাচারিতার পথ রুদ্ধ করে। ২. পর্দা সমাজকে কলুষমুক্ত করে। ৩. পর্দা সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখে। ৪. নারীর সতীত্ব রক্ষা করে। ৫. নারী জাতির মর্যাদা সংরক্ষণ করে। ৬. পুরুষকে চোখের ও মনের যিনা-ব্যভিচার হতে মুক্ত রাখে। ৭. সমাজ থেকে যিনা-ব্যভিচার উৎখাত করে। ৮. দাম্পত্য জীবন সুখময় করে তোলে। ৯. সুশঙ্খল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করে।যে সমাজের নারীরা শালীনতার গ-িতে থাকে সে সমাজ আশা করতে পারে একটি নিদাগ পবিত্র বিধৌত আলোকিত মা জাতির। যে জাতি সমাজকে উপহার দেবে একটি পরিচ্ছন্ন আলোকময় নতুন প্রজন্ম। যাদের পরশে সোনা হয়ে ওঠবে সমাজসভ্যতা ও দেশ। নারী এ সমাজেরই অংশ। তারা আমাদের কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রী, কারো কন্যা। তারা না থাকলে আমরা কেউই আলোর মুখ দেখতাম না। তাই তাদের মর্যাদা ও অধিকার অনস্বীকার্য। তাদের সতীত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় প্রত্যেককে সজাগ থাকা আবশ্যক। কারণ তারা ভালো হলেই আমরা পাব সুশীল ভবিষ্যৎ, পাব সুন্দর আগামী। তাইতো সমাজবিজ্ঞানী নেপোলিয়ন বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে একজন আদর্শ মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি আদর্শ জাতি উপহার দেব।’য় লেখক : বেতার ও টেলিভিশন আলোচকধহধিৎঁষশধৎরস৭৩@মসধরষ.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন