খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে পাহাড়ের সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত থাকা উপজাতীয় আঞ্চলিক দলগুলো। প্রকাশ্য একজন জনপ্রতিনিধিকে সরকারি অফিসের ভেতরেই গুলি করে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো সশস্ত্র হামলার চক আকতে শুরু করছে চুক্তি বিরোধী পাহাড়িদের আঞ্চলিক সংগঠন।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হাতেনাতে শীর্ষ চার নেতাকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে চুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সক্রিয় প্রভাবশালী এই চার সন্ত্রাসী নেতাকে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চৌকস টিম আটক করেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোর ৪টার দীঘিনালার বানছড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, দীঘিনালা ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার প্রত্যয় চাকমা (ডা. প্রীতি), দিঘীনালা ইউনিটের চিফ কালেক্টর বিধু ভূষন চাকমা, দিঘীনালার কারবারী টিলা এলাকার কালেক্টর সমর বিকাশ চাকমা ও অপর দীঘিনালা ইউনিটের কালেক্টর পূর্ন জীবন চাকমা। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, ৪০ রাউন্ড তাজা গুলি, ১০টি মোবাইল, ৭টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, চাঁদাবাজির ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, আটককৃতদের নিজেদের কর্মী বলে স্বীকার করে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। দলটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দমনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ইউপিডিএফ’র ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারান্তরীণ রাখা হচ্ছে। এমনকি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পর্যন্ত পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। অংগ্য মারমা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত চার ইউপিডিএফ সদস্যকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবিও জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন