শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ

জাতীয় প্রেসক্লাবে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে নতুন প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা ধারণা দিচ্ছে যে, একটি মাত্র দল, একজনই মাত্র ব্যক্তি আর একটি গোষ্ঠি যারা এদেশের সব কিছু এনে দিয়েছে। সব স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, উন্নয়ন এনে দিয়েছে, এখানে মানুষের অধিকারগুলো এনে দিয়েছে। মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে তারা প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সত্যটা তুলে ধরতে চাই। আমরা তুলে ধরতে চাই এদেশের স্বাধীনতার জন্য কখন কবে থেকে কারা কারা প্রাণ দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, সংগঠিত করেছে, সংগ্রাম করেছে। একটা কথা দেখবেন তাদের বক্তব্যের কোথাও তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানি, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দিন আহমেদের নাম একবারও উচ্চারণ করে না। এতো সংকীর্ণ এরা। কত ভয়ংকর যে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, নিজেকে মহিমান্বিত করতে, একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার জন্য, একটি পরিবারকে মহিমান্বিত করার জন্য তারা মিথ্যা ইতিহাস এদেশের মানুষকে চাপিয়ে দিতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজ হচ্ছে সকলের যে অবদান আছে তা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া, তাদের ১৯৭১ সাল থেকে একমাত্র শ্লোগান-‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, এখনো তারা একই কাজ হয়েছে। এখন কিছুর দায়ভার পড়ে শেখ হাসিনার ওপরে। আজকে অস্বীকার করার উপায় নেই সুপরিকল্পিতভাবে, সচেতনভাবে তারা স্বাধীনতার সাথে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই দেশের মানুষ যে আশা-আকাক্সক্ষা, ৩০ লাখ মানুষের যে আত্মহুতি সবকিছুর সাথে বেঈমানী করে তারা গণতন্ত্রকে কেড়ে নিয়েছে। কোথায় আমাদের অধিকার আছে?

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে ছোট না বা কাউকে বড় করা বা ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য আমরা এখানে আলোচনা করতে আসিনি। আমরা জনগণের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এই আলোচনা অনুষ্ঠান করছি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ৭ মার্চ পালনের কথা শুনে আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ হয়েছে। কি আছে ৭ মার্চের ভাষণে? ৫০ বছরের ইতিহাসে ছোট একটা অংশ এই ৭ মার্চ। আল্লাহর রহমত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কোনো পূঁজি নাই। ওই একটা পূঁজি তাদের ৭ মার্চের ভাষণ

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণটা যখন হয়, আমি আমার এলাকা লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চের বা দিকে বাঁশের বেরিকেডের সামনে উপস্থিত ছিলাম। ৭ মার্চ আমরা কি আশা করেছিলাম? বাঁশ নিয়ে গেছি, লাঠি নিয়ে গেছি একটা ঘোষণা আসবে। কিন্তু না, কোনো ঘোষণা আসেনি। বরং ওই পাকিস্তানি কাঠামোর ভেতরে থেকেই কিভাবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সেই জিনিসটা করেছেন। রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষ। যদি কেউ বলেন, কোনো এক মেজরের ঘোষণায় এদেশ স্বাধীন হয় নাই, আমরাও বলতে পারি, ৭ মার্চের কারণে দেশ স্বাধীন হয় নাই। আমরা কাউকে ছোট করার জন্য কিছু বলতে চাই না। আমরা মনে করি, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমানের অবস্থান ইতিহাস নির্ধারণ করে দেবে। আপনাদের বানানো ইতিহাস দিয়ে শহীদ জিয়্উার রহমানসহ অন্যদের নাম মুছে ফেলতে পারবেন না।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন