শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিএনসিসির আগ্রহ স্পেনের কীটনাশকে

মশক নিধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

মশক নিধনে স্পেন থেকে উন্নত মানের কীটনাশক আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাসের কাছে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন ডিএনসিসি মেয়র।

গতকাল গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনের উভয় পক্ষের মধ্যে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে মেয়র স্পেন থেকে উন্নত মানের কীটনাশক আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে স্পেনের রাষ্ট্রদূত বেনিতেজ সালাস বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্পেন থেকে উন্নত মানের কীটনাশক আমদানিতে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া স্পেন ঢাকা উত্তর সিটির সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নগর পরিবহন ব্যবস্থা, নগর সবুজায়ন, রিসাক্লিং, স্মার্ট সিটি ও সার্বিকভাবে পৌর-ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নগর ব্যবস্থাপনায় স্পেনের অনেক ভালো অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলো আমরা ডিএনসিসির সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। সাক্ষাৎকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ও সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গতকাল উত্তরা ও নিকুঞ্জে চলমান সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৮ মার্চ শুরু হওয়া ডিএনসিসির অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) এর ষষ্ঠ দিন শেষ হল গতকাল।

উত্তরায় ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত সাতদিন আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। মশক নিধন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। মশক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান সনাতনী পদ্ধতি থেকে আমাদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন নিয়ে এসেছি। কিন্তু এগুলো যখন কাঠিতে গেঁথে জলাশয়ে দিয়েছি, তখন মাছের জাল দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে। তাই আমাদের মাইন্ড সেটআপ পরিবর্তন করতে সচেতনতা কার্যক্রম করতে হবে।

মেয়র বলেন, শনিবার চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছি। সেখানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মশা, মশা আর মশা। এটি একটি ব্যক্তিগত জায়গা। আমি বারবার বলছি ঘরের ভেতরের যেমন পরিষ্কার করতে হবে, ঘরের বাইরেও পরিষ্কার করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মাঠে ময়দানে দেখছি।

মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিগত পরিবর্তন করতে হলে মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং করতে হবে। মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে হচ্ছে। এজন্য বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার দরকার। আমরা অতি শীঘ্রই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করব। আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর খাল-বিল জলাশয়, ডোবা-নালা আছে। এগুলো কচুরিপানায় ভর্তি। পুরো সিস্টেমকে ঠিক করতে হলে সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনা (আইভিএম) করতে হবে। আমরা একদিনও বসে নেই। বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ গুলোকে সনাতনী পদ্ধতিতে সমাধান করা সম্ভব নয়। এই সনাতনী পদ্ধতিতে কিভাবে আধুনিকীকরণ করা যায়, এ ব্যাপারে আমরা কাজ শুরু করেছি।

আসন্ন মৌসুমে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মেয়র বলেন, শনিবার বৃষ্টি হয়েছে। আমরা জানি বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ে। সেটি আরেকটি চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিউলেক্স মশা নিধনের অভিযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে এডিস মশার অভিযান শুরু হবে।

আজ উত্তরখান ও দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭ ও ৮) সমন্বিত মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হবে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন